উত্তরপ্রদেশে বিপুল জয় এক নতুন ভারতের স্বপ্ন দেখাচ্ছে। যেখানে গরীব মানুষ শুধু কিছু পাওয়ার আশায় পথ চেয়ে থাকেন না। তাঁরা কাজ চান। দেশের জন্য কিছু করে নিজেদের উন্নতি চান। তাঁরা জনাদেশের মধ্যে দিয়ে এটাই বার্তা দিলেন যে তাঁরা কিছু করতে চান। তাই এখানেই শেষ নয়। তাঁর লক্ষ্য এক নতুন ভারত। স্বাধীনতার ৭৫ বছর পালনের সঙ্গে সঙ্গে ২০২২ সালেও জয়। এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর ভাষণে এমনই জানালেন। গত শনিবার বিজেপির অভাবনীয় সাফল্যের পরও তাঁকে এক ঝলকও চোখে পড়েনি। কেবল এক লাইনের ট্যুইট করেই থেমে গেছিলেন তিনি। তারপর রবিবার প্রথমে রোড শো। তারপর পায়ে হেঁটে রাস্তার দুপাশে দাঁড়ানো মানুষকে অভিনন্দন জানাতে জানাতে দলীয় কার্যালয়ে প্রবেশ করলেন উত্তরপ্রদেশে জয়ের মূল কাণ্ডারি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দিল্লিতে তখন শেষ বিকেল। বিজেপি দফতরের সামনে অগণিত কর্মী-সমর্থকের ঢল। উত্তরপ্রদেশ জয়ের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে সম্মান জানাতে বিজেপি দফতরে তখন দলের প্রায় সব নেতা হাজির। সেখানেই উত্তরপ্রদেশ জয়ের পর প্রথম বলতে উঠে মোদীর দাবি, নির্বাচন শুধু ভোটে জেতা নয়। মানুষের বিশ্বাস রাখা বড় দায়িত্ব। লোকতন্ত্রে নির্বাচন লোকশিক্ষার এক মহাপর্ব। যেভাবে মানুষের মধ্যে ভোট দেওয়ার ইচ্ছা বাড়ছে তা দেশের জন্য শুভ সংকেত বলে ব্যাখ্যা করেন মোদী। পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশ জয়ে যে সাম্প্রদায়িকতার তাসের প্রসঙ্গ তুলে আনছেন কেউ কেউ, এদিন সেই তত্ত্বও নস্যাৎ করে দেন মোদী। তাঁর দাবি, কোনও স্পর্শকাতর ইস্যু নয়, উত্তরপ্রদেশে জয় এসেছে উন্নয়নের বার্তাকে সামনে রেখে। এদিন উত্তরপ্রদেশ জয়ের জন্য অমিত শাহকে পুরো কৃতিত্ব দেন মোদী।