২১ শতকে আরও এক উন্নত ভারত চান ভারতবাসী। চান সেই উন্নত ভারত গড়ায় তাঁরও কিছু অবদান থাকুক। যেখানে রাজনীতি প্রাসঙ্গিক হবে না। হবে সকলে মিলে নতুন ভারত গড়ার স্বপ্ন। এদিন তাঁর মাসিক রেডিও অনুষ্ঠান ‘মন কি বাত’-এ এভাবেই দেশবাসীকে উদ্বুদ্ধ করার চেষ্টা করলেন প্রধানমন্ত্রী। বিজেপির উত্তরপ্রদেশ ও উত্তরাখণ্ড বিজয়ের পর এটাই ছিল মোদীর প্রথম মন কি বাত। সেখানে এদিন পারস্পরিক সম্পর্কের ভারতীয় ঐতিহ্য বজায় রেখে দরিদ্র ও সমস্যাজীর্ণ মানুষের পাশে থাকার জন্য দেশবাসীকে আহ্বান জানালেন তিনি। তবে গত কয়েকটি মন কি বাতের মত এদিনও ক্যাশলেস ভারতের কথা বলতে ছাড়েননি প্রধানমন্ত্রী। তাঁর দাবি, যেভাবে ক্যাশলেস ভারতের দিকে ক্রমশ মানুষ ঝুঁকছেন, তাতে একদিন দেশ ক্যাশলেসের লক্ষ্য পূরণ করবেই। মার্চ মানেই বোর্ডের পরীক্ষা। যেসব ছাত্রছাত্রী পরীক্ষা দিচ্ছে তাদের শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী। সেইসঙ্গে তাঁর হাত ধরে চালু হওয়া স্বচ্ছভারত অভিযানে এদিন খাদ্যের অপচয়ের বিষয়টিতে জোর দেন মোদী। সাফ জানান, খাবারের অপচয় দেশের দরিদ্র মানুষের প্রতি অন্যায়। খাদ্য প্রক্রিয়াকরণের মধ্যে দিয়ে খাদ্য সংরক্ষণে এগিয়ে আসার জন্য দেশের একদল যুবক-যুবতীকে সাধুবাদ জানান তিনি। এদিন আরও একটি বিষয় নিয়ে মুখ খোলেন মোদী। তিনি সাধারণত যে ধরণের বিষয় নিয়ে আলোচনা করে থাকেন তার থেকে এটি সম্পূর্ণ আলাদা। বিষয়টি মানসিক অবসাদ। আগামী ৭ এপ্রিল বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস। এবার বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসের কেন্দ্রীয় বিষয় হল মানসিক অবসাদ। হু-এর দাবি, ভারতে এই মুহুর্তে প্রায় ৩৬ শতাংশ মানুষ মানসিক অবসাদে আক্রান্ত। এক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ, অবসাদকে চেপে রাখবেন না। প্রিয়জনদের কী মনে হচ্ছে তা বিস্তারিতভাবে জানান। ভাবনা ভাগ করুন। তাতে চাপ কমবে বলেই পরামর্শ দেন মোদী। এছাড়া এদিন বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস হওয়ায় তাদের শুভেচ্ছা জানিয়ে ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সুসম্পর্কের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।