
বাচ্চো কো পড়াই, নওজওয়ানো কো কামাই, বুজুরগো কো দাওয়াই। রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে এসে রাজ্যের উন্নয়নে এই ‘থ্রি পয়েন্ট অ্যাজেন্ডা’র কথা ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় এলে এই তিন লক্ষ্যপূরণ যে তাঁদের প্রথম কাজ হবে তা এদিন কৃষ্ণনগরের জনসভা থেকে স্পষ্ট করে দিলেন মোদী। রাজ্যে ক্ষমতায় এলে তাঁদের তিনটি লক্ষ্যও স্থির করে দিয়েছেন বিজেপির এই ম্যাজিক বক্তা। বিকাশ, দ্রুত গতির বিকাশ ও চারদিকে বিকাশকে সামনে রেখেই তাঁরা এগোচ্ছেন বলে ভোটারদের আশ্বস্ত করা চেষ্টা করেন প্রধানমন্ত্রী। তৃণমূল, বাম ও কংগ্রেস, এদিন কেউই মোদীর তীক্ষ্ণ বাক্যবাণ থেকে রেহাই পায়নি। রাজ্যে তৃণমূল সিন্ডিকেট সংস্কৃতি চালাচ্ছে বলে তোপ দাগেন মোদী। বিবেকানন্দ সেতু বিপর্যয়ের জন্য এদিন সিন্ডিকেটকেই কাঠগড়ায় তোলেন তিনি। সেই সঙ্গে সারদা থেকে নারদ, এক এক করে সব প্রসঙ্গ টেনেই তৃণমূলকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন বিজেপির এই অন্যতম কাণ্ডারি। বাদ যায়নি বাম-কংগ্রেস জোটও। ফের এদিন কেরালা প্রসঙ্গ টেনে মোদী দাবি করেন, কেরালাতেও একই সঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন হচ্ছে। সেখানে যে কমিউনিস্ট নেতা জনসভায় কংগ্রেসকে ছি ছি করছেন, তিনিই পশ্চিমবঙ্গে এসে কংগ্রেসের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে লড়াইয়ের কথা বলছেন। এটা বাংলার মানুষকে বোকা বানানোর কৌশল বলে দাবি করেন মোদী। কৃষ্ণনগরের পাশাপাশি এদিন কলকাতার শহিদ মিনারেও সভা ছিল নরেন্দ্র মোদীর। সেখানেও একইভাবে তৃণমূল, বাম ও কংগ্রেসকে একযোগে আক্রমণ করার চেষ্টা করেছেন তিনি। রাজ্যে পরিবর্তন না হলেও গত পাঁচ বছরে তৃণমূলনেত্রীর পরিবর্তন হয়েছে বলে এদিন ফের কটাক্ষ করেন মোদী। প্রবল গরমকে উপেক্ষা করে প্রধানমন্ত্রীর দুটি জনসভা ঘিরেই মানুষের উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মত।