প্রবল ঠান্ডার জন্য বছরে ৬ মাস বন্ধ থাকে কেদারনাথ মন্দিরের দরজা। সেই ৬ মাসের মেয়াদ পার করে এদিন ফের পুণ্যার্থীদের জন্য খুলল কেদারনাথ মন্দিরের দরজা। আর দরজা খোলার পর এ বছরের প্রথম দর্শনার্থীই হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বুধবার সকাল ৮টা ৫০ মিনিটে খোলা হয় কেদারনাথ মন্দিরের দরজা। তারপরই সেখানে পুজো দেন প্রধানমন্ত্রী। মন্দিরের মধ্যে কিছুক্ষণ কাটান। ‘রুদ্রাভিষেক’ করেন। প্রার্থনা করেন। হিমালয়ের ১১ হাজার ফুট উচ্চতায় কেদারনাথ মন্দির অবস্থিত। এদিন সেখানে সেনাবাহিনীর চপারে পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী। মন্দিরের কিছু দূরেই হেলিপ্যাড তৈরি হয়েছে। সেখানেই নামেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন উত্তরাখণ্ডের রাজ্যপাল কেকে পল ও মুখ্যমন্ত্রী ত্রিবেন্দ্র সিং রাওয়াত। এদিন ২০ মিনিট মন্দিরে কাটিয়ে বেরিয়ে আসেন মোদী। বাইরে তখন বহু সাধারণ মানুষ তাঁকে দেখার অপেক্ষায়। সকলের উদ্দেশ্যে হাত নাড়েন তিনি। পুজো দিয়ে বেরিয়ে আসার পর প্রধানমন্ত্রী হাতে একটি শাল, একটি রুদ্রাক্ষ, কাঠের তৈরি মন্দিরের অনুকৃতি ও হিমালয়ের ওপর লেখা বেশ কিছু বই উপহার হিসাবে তুলে দেন মন্দিরের পূজারীরা। এদিন মন্দিরের বাইরে নন্দী মূর্তিও পরিক্রমা করেন প্রধানমন্ত্রী। ২০১৩ সালের জুন মাসে এক ভয়ংকর ধসে কেদারনাথ মন্দিরের চারপাশ ধ্বংস হয়ে যায়। সেই সময়ে একটি বিশাল আকৃতির গোল পাথর গড়াতে গড়াতে এসে মন্দিরের ঠিক পিছনে আটকে যায়। সেই পাথরই মন্দিরটিকে ধ্বংস হওয়া থেকে আটকায়। পরে সেই পাথরটির নাম দেওয়া হয় ভীমশীলা। প্রধানমন্ত্রী এদিন সেই জায়গাটিও ঘুরে দেখেন। এখান থেকে হরিদ্বারে উড়ে যান তিনি। সেখানে বাবা রামদেবের পতঞ্জলি যোগীপীঠে একটি গবেষণা কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।