গুজরাটে নর্মদা নদীর ওপর সর্দার সরোবর বাঁধ। দীর্ঘ ইতিহাস। বহু উত্থান পতন। নানা জটিলতা। আদালত, আন্দোলন। একের পর এক ঝাপটা আছড়ে পড়েছে এই ১ দশমিক ২ কিলোমিটার লম্বা বাঁধের নির্মাণে। ফলে দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরুর হাতে যে বাঁধ তৈরির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হয়েছিল তার এতদিনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাত দিয়ে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হল। ১৯৬১ সালের ৫ এপ্রিল জওহরলাল নেহেরুর হাতে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হয়। কিন্তু কাজ শুরু হয় ১৯৮৭ সালে। তারপরও মেধা পাটকরের নর্মদা বাঁচাও আন্দোলন অনেকটা থমকে দেয় এই নির্মাণ কাজের গতি। ১৯৯৬ সালে সুপ্রিম কোর্টও এই মামলার প্রেক্ষিতে এই বাঁধ নির্মাণে স্থগিতাদেশ জারি করে। ৪ বছর পর ফের শুরু হয় কাজ। বিশ্বব্যাঙ্কও একসময়ে এই বাঁধ নির্মাণে টাকা দিতে অস্বীকার করে। তারপরও অবশেষে এই বাঁধের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হল।
এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জন্মদিন। ৬৭ বছরে পা দিলেন তিনি। এদিন সকালে তাঁর ভাইয়ের বাড়ি গুজরাটের রাইসান গ্রামে হাজির মোদী। সেখানেই থাকেন তাঁর মা ৯৭ বছরের হীরাবেন। সেখানে উপস্থিত হয়ে মায়ের আশীর্বাদ নিয়ে তাঁর সঙ্গে কিছুক্ষণ সময় কাটান নরেন্দ্র মোদী। তারপর সেখান থেকে হাজির হন সর্দার সরোবর বাঁধের উদ্বোধনে।
বিশ্বর সর্ববৃহৎ বাঁধ আমেরিকার গ্র্যান্ড কোউলি। তারপরই সর্ববৃহৎ বাঁধের তকমা পেল সর্দার সরোবর বাঁধ। ১৬৩ ফুট গভীর এই বাঁধের এক একটি লকগেটের ওজন ৪৫০ টন। যা বন্ধ হতে সময় লাগে ১ ঘণ্টা। ইতিমধ্যেই এর ২টি পাওয়ার হাউস থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন চালু হয়েছে। এই বাঁধ থেকে উৎপাদিত বিদ্যুতের ৫৭ শতাংশ পাচ্ছে মহারাষ্ট্র, ২৭ শতাংশ মধ্যপ্রদেশ পাচ্ছে, গুজরাট পাচ্ছে ১৬ শতাংশ।