
গুজরাটের একটি ছোট্ট শহর ভডনগর। এখানেই রেল স্টেশন লাগোয়া একটি চায়ের দোকান এদিন সেজে উঠেছিল ফুলের সাজে। হয়তো ভডনগর শহরের নামটা দেশের আর পাঁচটা নাম না জানা শহরের তালিকাতেই থেকে যেত। কিন্তু তাতো হওয়ার নয়। কারণ যে সাদামাটা চায়ের দোকানটা এদিন সেজে উঠেছিল সেই দোকানেই একদিন চা বেচতেন এ দেশের এক ক্ষণজন্মা পুরুষের পিতা। আর সেই চা গ্রাহকের হাতে তুলে দিতেন ছোট্ট ছেলে নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদী। প্রধানমন্ত্রীর বাবার সেই চায়ের দোকান কালক্রমে এখন একটি পর্যটনস্থলে রূপান্তরিত। এদিন শেই শৈশবের শহরে এসে নিজের আবেগ ধরে রাখতে পারলেন না প্রধানমন্ত্রী। সাজানো চায়ের দোকানের পাশেই এদিন ব্যবস্থা হয়েছিল একটি ছবির প্রদর্শনীর। যেখানে প্রধানমন্ত্রীর শৈশবের নানা ছবি তুলে ধরা হয়।
সামনে গুজরাটে বিধানসভা নির্বাচন। সেই নির্বাচনের প্রচারে বেরিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। দ্বিতীয় দিনেই রবিবারের সকালে তিনি হাজির হলেন নিজের শৈশবের শহর ভডনগরে। শহরের আপাত ব্রাত্য এক চা বিক্রেতার ছেলে এখন দেশের সর্বেসর্বা। সেই গর্বের সন্তানকে চোখের দেখা দেখতে এদিন ভডনগরের রাস্তায় উপচে পড়েছিল ভিড়। আবেগ ধরে রাখতে পারেননি মোদী। রেঞ্জ রোভার গাড়ির দরজা খুলে বেরিয়ে এসেছিলেন তিনি। রোড শোর মত হাত নাড়তে নাড়তে এগিয়ে যান সামনের দিকে।
কর্মসূচিতে ছিলনা। কিন্তু নিজের শহরে এত মানুষের ভালবাসাকে উপেক্ষা করতে পারেননি তিনি। পরে জনসভায় বক্তৃতার আগে একটি হাসপাতালের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিন তাঁর শরীরের ভাষা বুঝিয়ে দিয়েছে এদিন তিনি শুধুই দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে এ শহরে পা রাখেননি। এসেছেন নিজের শৈশবটা ফের একবার ছুঁয়ে দেখতে। সাফল্যের চুড়োয় দাঁড়িয়ে শূন্য থেকে শুরুর সময়টা একবার উঁকি দিয়ে দেখতে।