আগুনে পোড়ে না, তেজস্ক্রিয়তায় গলে না। এমনই বস্তু দিয়ে তৈরি করা হয়েছে পার্কার সোলার প্রোব। যা আর কিছুদিনের মধ্যেই পাড়ি দেবে সূর্যের দিকে। সূর্যকে স্পর্শ করাই এখন নাসা-র আগামী লক্ষ্য। ৬০ বছর পার করা এই মার্কিন মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র তাদের ওয়েবসাইটে জানিয়েছে আগামী ৬ অগাস্টের আগে এই যান পাড়ি দেওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। তারা শেষবারের মত সবকিছু দেখে নিতে চাইছে কোথাও কোনও ত্রুটি থেকে যাচ্ছে নাতো?
সূর্যের কাছে যাওয়া মানে শুধু দেড়শো মিলিয়ন কিলোমিটার পাড়ি দেওয়ার চ্যালেঞ্জ নেওয়াই নয়। সূর্যের কাছে যাওয়া মানে নিমেষে ছাই হয়ে যাওয়া! সেই ভয়ংকর উত্তাপ ও তেজস্ক্রিয়তার সঙ্গে লড়াই করার ক্ষমতা পার্কার সোলার প্রোবের আছে কিনা তা একেবারে নিশ্চিত হতে চাইছেন বিজ্ঞানীরা। কারণ এমন মিশন এই প্রথম। চাঁদ, মঙ্গল বা অন্য গ্রহের দিকে যান পাঠানোতে এই অতিরিক্ত উত্তাপ বিষয়ক সমস্যা থাকেনা। যা সূর্যের ক্ষেত্রে থাকে। আর সেটাই একটা বড় চ্যালেঞ্জ।
একটি গাড়ির মাপের পার্কার সোলার প্রোব সূর্যকে একদম কাছ থেকে নিরীক্ষণ করে তথ্য সংগ্রহ করবে। যা সূর্য সম্বন্ধে বিজ্ঞানীদের জ্ঞান বৃদ্ধি করতে ও তথ্য সমৃদ্ধ হতে সহায়ক ভূমিকা নেবে। ফ্লোরিডার কেপ ক্যানাভেরাল এয়ারফোর্স স্টেশন থেকে এই সূর্যযানের পাড়ি দেওয়ার কথা। আপাতত তারই অপেক্ষায় গোটা বিশ্ব।