মঙ্গলের পাহাড়ে কঠিনতম পরিস্থিতির মুখে নাসার যান, অবশেষে কি হল
মঙ্গলগ্রহের মাটিতে তার ১১টা বছর কাটিয়ে দিয়েছে নাসার যান কিউরিওসিটি রোভার। তবে এবার সে কঠিনতম পরিস্থিতির সম্মুখীন হল সেখানে।
২০১২ সালে নাসার যান কিউরিওসিটি রোভার মঙ্গলগ্রহের মাটিতে পা রাখে। তাকে পাঠানো হয় মঙ্গলের গল ক্রেটার এবং শার্প পাহাড়ে ঘুরে বেরিয়ে সেখান থেকে তথ্য সংগ্রহ করার জন্য। সেই কাজ বছরের পর বছর ধরে এই বিশেষ ধরনের রোবট যান করে চলেছে। যা থেকে বিজ্ঞানীরা মঙ্গলকে নতুন করে চেনার সুযোগ পেয়েছেন। এবার কিন্তু সেই কিউরিওসিটি তার এতদিনের মঙ্গল ভ্রমণে সবচেয়ে কঠিন পরিস্থিতির মুখে পড়ল। যে কোনও সময় তা উল্টেও যেতে পারত।
মঙ্গলে একটি পাহাড় রয়েছে যার নাম শার্প। সেই শার্প পাহাড়ের পাদদেশে জাউ নামে একটি জায়গা রয়েছে। অবশ্যই এসব নাম বিজ্ঞানীদের দেওয়া।
সেই জাউ নামে জায়গায় গবেষণা চালানোর সময় একটা জায়গায় কিউরিওসিটিকে উঠতে হত। পাহাড় যখন তখন তো সেখানে ওঠানামা চলবে। সেই ওঠার সময় যে ঢাল কিউরিওসিটি নেয় তা ২৩ ডিগ্রি খাড়াই।
শুধু খাড়াই হলেও কথা ছিল, কিন্তু সেখানে পিচ্ছিল বালি ভর্তি। সেই সঙ্গে পাথরের অনেক টুকরো ছড়িয়ে আছে ওঠার পথে। আর পাথরগুলো ওই রোভারের চাকার সমান বড়।
১১ বছর ধরে লাল গ্রহের মাটিতে ঘোরার পর এই কঠিন পরিস্থিতিতে কিউরিওসিটির ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। তবে বিজ্ঞানীরা অনেক চেষ্টায় তাকে ওই খাড়াইটা উঠে যেতে সাহায্য করেন।
ফলে কিউরিওসিটি বহাল তবিয়তেই এখন ওই খাড়াই চড়ে নিজের কাজ চালাচ্ছে। প্রসঙ্গত কোটি কোটি বছর আগে নদী, ঝর্ণা ও দিঘি নানা অংশে ছড়িয়ে ছিল এই ৩ মাইল উঁচু শার্প নামে পাহাড়টিতে। — তথ্যসূত্র — নাসা জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরি