পৃথিবীর সঙ্গে এত মিল শনিগ্রহের, কি দেখে বিস্মিত বিজ্ঞানীরা
পৃথিবীর সঙ্গে একটি বিষয়ে দারুণ মিল রয়েছে শনিগ্রহের। শনির বলয় সম্বন্ধে সকলের জানা থাকলেও এটির সঙ্গে বিশেষ পরিচিতি ছিলনা। এবার হল।
সৌরমণ্ডলের অন্যতম গ্রহ শনি। শনিগ্রহের বলয় ছোটবেলায় পাঠ্যবইয়ের পাতায় সেই যে শিশু চোখে ছবির মত ছেপে যায়, তা সারাজীবন চোখে লেপ্টে থাকে। শনিগ্রহের কথা বললেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে একটি গ্রহের চারধার একটি গোল চাকা দিয়ে ঘেরা। যেমনটা আর কোনও গ্রহের ক্ষেত্রেই হয়না। যাকে বাংলায় শনির বলয় হিসাবেই সকলে জানেন।
কিন্তু শনিগ্রহে যে পৃথিবীর মতই ঋতু বদল হয় সেটা অনেকেই হয়তো জানতেন না। শনিগ্রহে কিন্তু ঋতু বদল হয়। এই ঋতু বদলটা পৃথিবীর সঙ্গে খুবই মেলে।
তবে ঋতুর পরিবর্তনের সময়কালটা মেলে না। পৃথিবী সূর্যের চারধারে ঘোরে। বাংলায় তো ৬টি ঋতুর প্রভাব দেখা যায়। তবে বিশ্বজুড়ে কম করে ৪টি ঋতুর প্রভাব তো দেখাই যায়। গ্রীষ্ম, বর্ষা, শীত আর বসন্ত।
সে ৬ ঋতুর প্রভাব হোক বা ৪ ঋতুর প্রভাব, বিশ্বে এই পুরোটাই হয় এক বছরের মধ্যে। কারণ সূর্যকে প্রদক্ষিণ করতে ওই সময়টাই নেয় পৃথিবী। শনিগ্রহে কিন্তু তা নয়।
সেখানে একটি ঋতু থেকে অন্য ঋতুতে যেতে সময় লাগে সাড়ে ৭ বছর। এভাবে ঋতু বদল হতে থাকে সাড়ে ৭ বছর অন্তর। কারণ শনিগ্রহের সূর্যকে একবার প্রদক্ষিণ করতে ৩০ বছর সময় লাগে। ৩০ বছর মানে পৃথিবীর বছরের হিসাবে ৩০ বছর।
অতিশক্তিশালী জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ শনিগ্রহের সেই ঋতু পরিবর্তনের ছবি তুলে পাঠায়। সময়ের সঙ্গে সেখানে গ্রহটির বদল পরিস্কার। তবে তা দিনে বা মাসে নয়, বদলেছে বছরের হিসাবে। এই ছবি মুগ্ধ করেছে বিজ্ঞানীদেরও। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা