সুবর্ণ সুযোগের হাতছানি, নাসার চ্যালেঞ্জের মুখে দেশের ৭ ছাত্রদল
এ এক সুবর্ণ সুযোগ। আবার বড় চ্যালেঞ্জও। তবে এই কঠিন ধাপ অতিক্রম করতে পারলে সামনে উজ্জ্বল দিন। যা হয়তো আগামী দিনে দেশের কাজেই লাগবে।
মহাকাশ বিজ্ঞানে ভারত যে বিশ্বের হাতেগোনা কয়েকটি দেশের মধ্যে পড়ে তা ইতিমধ্যেই প্রমাণিত হয়ে গেছে। এবার সেই ভারতেরই ৭টি অন্যতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৭ ছাত্রদল পাড়ি দিচ্ছে নাসার চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে। কেমন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে তাদের?
এটা অনেকেরই জানা যে আগামী দিনে চাঁদ বা মঙ্গলগ্রহকে স্থায়ী বসবাসের নতুন ঠিকানা হিসাবে দেখছে পৃথিবীবাসী। সেজন্য প্রস্তুতিও চালাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। এখন তাঁরা এমন এক রোভার চাইছেন যা নিজে চাঁদ বা মঙ্গলগ্রহে পৌঁছে ঘুরবে না, তাতে চড়ে বসে থাকবে মানুষ।
অর্থাৎ আগামী দিনে শুধু রোভার নয়, মানুষ সহ রোভার পাঠানোর ভাবনা চলছে। তা করতে গেলে এমন রোভার দরকার যা চাঁদ বা মঙ্গলগ্রহের অত্যন্ত এবড়োখেবড়ো জমির ওপরও নিশ্চিন্তে মানুষকে নিয়ে ঘুরতে পারবে।
এমন রোভার তো এখন নেই। আর এটাই ওই ছাত্রদের কাছে চ্যালেঞ্জ নাসার। তাদের এমন রোভার বানিয়ে দেখাতে হবে যা মানুষকে নিয়ে চাঁদ বা মঙ্গলের মাটিতে ঘুরতে সক্ষম। আবার শর্ত হল সে রোভারকে যতটা সম্ভব হালকা হতে হবে।
শুধু ভারত নয়, আরও ১৩টি দেশের মোট ৭২ ছাত্রদল এই চ্যালেঞ্জ নিতে যাচ্ছে নাসায়। যারা সফল হবে তারা এই প্রোজেক্টে নাসার সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পাবে।
ভারতের নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা যারা মহাকাশ বিজ্ঞান চর্চাকেই জীবনের লক্ষ্য করেছে, তাদের জন্য এটা দারুণ সুযোগ। আগামী দিনে তাদের সাফল্য ভারতের মহাকাশ গবেষণাকেও প্রভূত সাহায্য করতে পারে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা