টাইটানে নতুন যান পাঠাচ্ছে নাসা, যার জ্বালানিতেই আসল চমক
শনিগ্রহের সবচেয়ে বড় উপগ্রহটির নাম টাইটান। সেই টাইটানে যা রয়েছে তা সত্যিই অবাক করা। সেখানে যে যান পাঠাচ্ছে নাসা তার জ্বালানিও অবাক করা।
সৌরমণ্ডলের মধ্যে পৃথিবী ছাড়াও আর কোথায় থাকা যেতে পারে, মানুষ বসতি স্থাপন করতে পারে তার খোঁজ চালাচ্ছে নাসা। চাঁদ ও মঙ্গলগ্রহ নিয়ে তারা আশাবাদী হলেও অন্য গ্রহ উপগ্রহে থাকা যেতে পারে এমন কোনও ইঙ্গিত পেলেও সেখানে যান পাঠিয়ে খবর নেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন নাসার বিজ্ঞানীরা।
এবার তাঁরা শনিগ্রহের সবচেয়ে বড় উপগ্রহ টাইটানে যান পাঠাতে চলেছেন। কারণ বিজ্ঞানীরা জানতে পেরেছেন টাইটানে এক বিশাল সমুদ্র রয়েছে। যেখানে জল রয়েছে। আর আছে বরফ।
এই যানটি অনেকটা ড্রোনের মত দেখতে। একটি গাড়ির সমান চেহারা। এই মহাকাশযানকে টাইটানে পাঠিয়ে সেখানে ঘোরাঘুরির জন্য নাসা এবার ব্যবহার করছে পারমাণবিক জ্বালানি। জ্বালানিতে রীতিমত চমক দিয়েছে নাসা।
টাইটানের আবহাওয়ার ঘনত্ব বেশি। প্রচুর নাইট্রোজেনের উপস্থিতি। কিন্তু তার মাধ্যাকর্ষণ শক্তি অত্যন্ত কম। সেদিক মাথায় রেখে এই যানটি তৈরি করেছে নাসা। যা পারমাণবিক জ্বালানিতে টাইটানের মাটিও সংগ্রহ করবে।
গত ৩ বছরে এই ড্রাগনফ্লাই নামে যানটির ৪ বার পরীক্ষা হয়েছে। টাইটানে হাওয়ার গতি সহ আবহাওয়ার কথা মাথায় রেখেই পরীক্ষা চলছে।
সবদিক থেকে নিশ্চিত হলে এবং সব পরীক্ষা ঠিকঠাক এগোলে নাসা ২০২৭ সালেই এই ড্রাগনফ্লাইকে টাইটানে পাঠাবে। পৃথিবী থেকে উড়ে যাওয়ার পর এই যান মহাকাশের বিশাল পথ অতিক্রম করে ২০৩৪ সালে টাইটানের সমুদ্রের ধারে পৌঁছে যাবে। শুরু করবে নিজের কাজ। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা