মহাকাশের কাঁকড়া সম্বন্ধে আরও তথ্য সংগ্রহ করছেন বিজ্ঞানীরা
মহাকাশ চিরকালই মানুষের কাছে এক রহস্য। তবে এখন বিজ্ঞানের উন্নতি সেই রহস্যের ব্যাপ্তি যেন আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। এই যেমন এক নয়া রহস্য মহাকাশের কাঁকড়া।
মহাকাশ বিজ্ঞান এখন কার্যত ছুটছে। প্রযুক্তিগত উন্নতি মানুষকে মহাকাশকে চিনতে সাহায্য করছে। জেমস ওয়েব, হাবল-এর মত টেলিস্কোপগুলি সৌরমণ্ডল ছাড়িয়ে তার চেয়ে অনেক অনেক দূরের অন্য সব নক্ষত্রমণ্ডলের নানা তথ্য, ছবি সামনে এনে দিচ্ছে। যা দেখে বিজ্ঞানীরা আপ্লুতও হচ্ছেন।
আবার নতুন করে মহাশূন্যকে চেনার চেষ্টা করছেন। আর যত চেনার চেষ্টা করছেন ততই রহস্যের জালও আরও জটিল হচ্ছে। যেমন নাসার জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ ৬ হাজার ৫০০ আলোকবর্ষ দূরের একটি নক্ষত্রপুঞ্জের ছবি তুলেছে।
টরাস নামে ওই নক্ষত্রপুঞ্জের একটি নক্ষত্রের দিন শেষ হয়েছিল। সেটি ধ্বংস হয়ে যায়। ফলত হয় সুপারনোভা। যা সেখানে প্রচুর পরিমাণে ধুলো ও ধোঁয়ার সৃষ্টি করেছে। যা থেকে তৈরি হয়েছে একটি নেবুলা। যা দেখতে হুবহু একটি কাঁকড়ার মত।
এর আগে মহাশূন্যে এভাবেই হাত ও হাতের মধ্যে এক্স-রে-তে পাওয়া যায় এমন হাড়ের দেখা পেয়েছিলেন বিজ্ঞানীরা। এবার তেমনভাবেই একটি কাঁকড়ারও খোঁজ পেলেন তাঁরা।
নক্ষত্রটি ধ্বংস হয়ে তার ধ্বংসাবশেষ এমন কাঁকড়ার চেহারা নিয়েছে। এই কাঁকড়া এখন বিজ্ঞানীদের অন্যতম উৎসাহ হয়ে উঠেছে। ক্র্যাব নেবুলা নিয়ে তাঁরা আরও তথ্য সংগ্রহ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
এটা বলা হচ্ছে যে এটি একটি সুপারনোভার পর তার পরবর্তী প্রভাব, আচরণে ঠিক কীভাবে এমন একটি কাঁকড়ার চেহারা তৈরি হল তা খতিয়ে দেখার চেষ্টা করছেন বিজ্ঞানীরা।