মঙ্গলের বুকে বিরল ইতিহাস রচনা করল নাসার কিউরিওসিটি
মঙ্গলগ্রহের বুকে ঘুরে বেড়াচ্ছে নাসার যান কিউরিওসিটি। নানা নমুনা সংগ্রহও করছে। এবার এক বিরল ইতিহাস রচনা করল নাসার এই যান।
মঙ্গলগ্রহে কি জল ছিল? মঙ্গলগ্রহে কি প্রাণ ছিল? মঙ্গলের মাটিতে আগামী দিনে মানুষের বসবাস কি সম্ভব? এমনই নানা প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে এবং বিজ্ঞানীদের মঙ্গল সম্বন্ধে প্রতিনিয়ত তথ্য পাঠাতে নাসার পাঠানো যান কিউরিওসিটি রোভার ঘুরে বেড়াচ্ছে মঙ্গলের মাটিতে।
সেই ২০১২ সালের ৫ অগাস্ট মঙ্গলের মাটিতে গড়াতে শুরু করে কিউরিওসিটি। তারপর থেকে এখনও ক্লান্তিহীনভাবে সে তার কাজ করে চলেছে।
এবার কিউরিওসিটি পূর্ণ করল মঙ্গলে কাটানো তার ৪ হাজারতম দিন। এ এক বিরল প্রাপ্তি বলেই মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। শুধু ৪ হাজার দিন কাটানোই নয়, মঙ্গলে তার ৩৯ তম খননটাও সেরে ফেলেছে কিউরিওসিটি।
মঙ্গলের নানা জায়গায় পৌঁছে সেখানে মাটি খুঁড়ে সেই নমুনা নিজের পেটে ভরে নিচ্ছে কিউরিওসিটি। যাতে তা বিজ্ঞানীরা হাতে পেলে পরীক্ষা করে দেখতে পারেন। সেই কাজে ৩৯ তম খনন সেরে সেই নমুনাও সে পকেটস্থ করেছে।
মঙ্গলে একটি পাহাড় রয়েছে যা ৫ কিলোমিটার উঁচু। সেই অতি উচ্চ পর্বতের পাদদেশের আশপাশে ঘুরে নমুনা সংগ্রহ করছে কিউরিওসিটি। কারণ এই পাহাড়টি মঙ্গলের বহু প্রাচীন পাহাড়। যার গায়ে রয়েছে অনেকগুলি স্তর।
একের পর এক স্তর নানা সময়ে পরত ফেলেছে পাহাড়ের গায়ে। বিজ্ঞানীরা মনে করছেন এই জায়গার নমুনা হাতে পেলে মঙ্গলগ্রহে প্রাচীনকাল থেকে এখনও পর্যন্ত কীভাবে আবহাওয়ার পরিবর্তন সুনিশ্চিত হয়েছে তা সহজেই বোঝা যাবে। যা এটাও বুঝতে সাহায্য করবে যে সেখানে কখনও প্রাণ ছিল কিনা। সেই নমুনা সংগ্রহ করছে কিউরিওসিটি। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা