গ্রহ সৃষ্টির সময় সেখানে জলের অস্তিত্ব পেলেন বিজ্ঞানীরা
পাথুরে গ্রহ সৃষ্টির সময় তাতে জলের অস্তিত্ব থাকার বিষয়টি জানতে পারলেন বিজ্ঞানীরা। অত্যন্ত চরম এক পরিবেশে গ্রহ সৃষ্টির সময় আরও কয়েকটি খোঁজ পেলেন তাঁরা।
ছায়াপথে যখন একটি পাথুরে গ্রহ সৃষ্টি হয় তখন সেটা এক চরম পরিবেশে তৈরি হতে পারে। সেই গ্রহে জল থাকার একটা সম্ভাবনা থেকে যায়। বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, একটি ছায়াপথে যখন এক চরম পরিস্থিতিতে একটি ডিস্ক সৃষ্টি হয়, তখন এক পরিস্থিতিতে একটি পাথুরে গ্রহ সৃষ্টি হয়।
তখন সেই গ্রহে জলের অস্তিত্ব থাকে। শুধু জল বলেই নয়, সেখানে অন্য অনেক ধরনের অণুও দেখতে পাওয়া যায়। তার মানে সেই চরম পরিস্থিতিতে সৃষ্টি হওয়া গ্রহে সেসব বস্তুরও অস্তিত্ব থাকে।
জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে যাবতীয় পর্যালোচনার পর বিজ্ঞানীরা এই বিষয়ে নিশ্চিত হতে পেরেছেন।
বিজ্ঞানীরা জেমস ওয়েবের দেওয়া তথ্যে নজর দিয়ে দেখেছেন কীভাবে চক্রাকারে ঘুরতে থাকে একটি গ্যাসের মেঘপুঞ্জ। তার মধ্যে ঘুরতে থাকে ধুলো ও পাথরের টুকরো।
সেগুলি ক্রমে জমাট বাঁধতে থাকে। এভাবেই একটু একটু করে একটি গ্রহের সৃষ্টি হয়। এগুলো হয় যেখানে নক্ষত্র সৃষ্টি হয় তেমন সব জায়গায়।
এই যে বৃত্তাকারে ঘুরতে থাকা একটি গ্যাস, ধুলো ও পাথরের টুকরোর ডিস্ক, সেটির মধ্যেই জলের অস্তিত্ব খুঁজে পেলেন বিজ্ঞানীরা। ৫ হাজার ৫০০ আলোকবর্ষ দূরে এই বিষয়টি নজরে পড়েছে তাঁদের।
তবে গ্রহ সৃষ্টির সময় তাতে জলের অস্তিত্ব কিন্তু অবশ্যই আগামী দিনে গ্রহ চর্চায় বিজ্ঞানীদের প্রভূত সাহায্য করবে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা