সোনা হিরের দেশে কবে পৌঁছবে নাসার মহাকাশযান, তার আগেই বা কোথা দিয়ে যাবে
সোনা ও হিরের রাজ্যের খোঁজে মহাকাশে পাড়ি দিয়েছে সাইকি। তার লম্বা অভিযান শেষ হবে কবে। কবেই বা সে পৌঁছে যাবে সেই স্বপ্নের দেশে।
নাসা এখন মহাকাশে যান পাঠাচ্ছে আগের চেয়ে অনেক বেশি। প্রতিটি যান ছুটে যাচ্ছে মহাশূন্যে। প্রতিটির আলাদা আলাদা কাজ বরাদ্দ। সেই লক্ষ্যে ছুটে চলেছে তারা। ইসরোও এখন যান পাঠানোয় জোর দিচ্ছে। গত অক্টোবরে নাসা এমনই একটি যান মহাকাশে পাঠিয়েছে।
যা ক্রমশ পৃথিবী থেকে দূরে চলে যাচ্ছে। ছুটে যাচ্ছে তার লক্ষ্যে। এই যান ছুটছে সোনা আর হিরের খোঁজে। এমন এক গ্রহাণুতে যেখানে নাকি সোনা আর হিরে ভরে আছে।
সেই গ্রহাণুর দিকে যাওয়ার সময় তার মাঝপথেও বেশ কয়েকটি কাজ সারতে দিয়েছেন নাসা বিজ্ঞানীরা। সে কাজ করে সে উড়ে যাবে লক্ষ্যে।
১৩ অক্টোবর মহাকাশে পাড়ি দেওয়ার পর সাইকি ২০২৬ সালে পৌঁছে যাবে মঙ্গলগ্রহের পাশে। মঙ্গলগ্রহের পাশ দিয়ে উড়ে যাওয়ার সময় তার কাজ হল মঙ্গলগ্রহ সম্বন্ধে কিছু তথ্য সংগ্রহ করে নাসার বিজ্ঞানীদের পাঠানো। সে কাজ তাকে করতে হবে যাওয়ার পথে।
তারপর মঙ্গল ছাড়িয়ে সে আরও দূরে যেতে থাকবে। ২০২৯ সালে সে অবশেষে পৌঁছে যাবে তার লক্ষ্যে। অর্থাৎ সেই সোনা ও হিরে ভর্তি গ্রহাণু সাইকির কাছে। সেটাই তার গন্তব্য।
ওড়ার পর ইতিমধ্যেই যাত্রাপথে সাইকি মহাকাশযান ছবি পাঠিয়েছে। ৮ সপ্তাহ ওড়ার পর প্রথম সে ছবি পাঠিয়েছে। অতিশক্তিশালী ক্যামেরা লাগানো রয়েছে তার গায়ে।
সাইকিতে পৌঁছে এই মহাকাশযানের সাহায্যে বিজ্ঞানীরা সাইকি গ্রহাণুর একটি ত্রিমাত্রিক মানচিত্র তৈরি করবেন। যা সাইকির ইতিহাস জানতে তাঁদের প্রভূত সাহায্য করবে। — তথ্যসূত্র — নাসা জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরি