শনিগ্রহের চাঁদে লুকোনো মহাসমুদ্র, সেখানেই প্রাণের উৎস পেলেন বিজ্ঞানীরা
পৃথিবী ছাড়া সৌরমণ্ডলের অন্য কোনও গ্রহ বা তাদের চাঁদে প্রাণ ছিল বা আছে কি, সে খোঁজে একটা বড় পা ফেলার সুযোগ পেলেন বিজ্ঞানীরা।
পৃথিবী ছাড়া মঙ্গলগ্রহে জল ছিল বলে এখন অনেকটাই নিশ্চিত হয়েছেন বিজ্ঞানীরা। ফলে সেখানে প্রাণও ছিল বলে মনে করছেন তাঁরা। বৃহস্পতির চাঁদেও এমন এক সম্ভাবনা নিয়ে ভাবছেন বিজ্ঞানীরা। এবার তাঁদের হাতে আরও এক বড় তথ্য এল। যা সম্বন্ধে এতদিন তাঁদের জানা ছিলনা।
শনিগ্রহের অন্যতম চাঁদ এনসেলাডাস। এই এনসেলাডাস-এ রয়েছে বরফের স্তূপ। আর সেখান থেকে জলীয় বাষ্পও নির্গত হচ্ছে। এই জলীয় বাষ্পে বিজ্ঞানীরা প্রাণের জন্য প্রয়োজনীয় জৈব উপাদানের খোঁজ পেয়েছেন। হাইড্রোজেন সায়ানাইড রয়েছে বলে নিশ্চিত তাঁরা। আর এটি এমন এক উপাদান যা প্রাণের উৎসের জন্য অতি প্রয়োজনীয়।
বিজ্ঞানীরা এটাও জানতে পেরেছেন যে এনসেলাডাস-এ একটি অতিকায় মহাসমুদ্র রয়েছে। তবে তা দেখা যায়না। কারণ তা বরফের চাদরে ঢাকা।
বরফের তলায় রয়েছে সেই মহাসমুদ্রের জলরাশি। সেই জলেই রয়েছে বিপুল ক্ষমতা সম্পন্ন রাসায়নিক শক্তি। যা ঠিক কি তা এখনও অনাবিষ্কৃত।
তবে বিজ্ঞানীরা মনে করছেন এই শক্তির উৎস অনেক ধরনের জৈব উপাদান। নাসার ক্যাসিনি মিশন এই নানা অজানা তথ্য বিজ্ঞানীদের জানতে সাহায্য করেছে।
এখন তাই বিজ্ঞানীরা এই তথ্যের ভিত্তিতে শনিগ্রহের চাঁদে প্রাণের উৎস খোঁজার কাজ শুরু করে দিয়েছেন। শনিগ্রহের উপগ্রহ এনসেলাডাস-এ কি ধরনের বায়োমলিকিউল তৈরি হতে পারে তাও বোঝার চেষ্টা করছেন নাসার বিজ্ঞানীরা। — তথ্যসূত্র — নাসা জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরি