অনন্ত মহাশূন্যে ছুটছে চেনা বেড়াল, অদ্ভুত এক দৃশ্য দেখাল নাসা
গভীর মহাশূন্যে নাসার এক কর্মীর পোষা বেড়াল ছুটছে। ধাওয়া করছে একটা বিন্দুকে। নাসা এবার তাক লাগিয়ে দিল মহাকাশে চেনা বেড়ালকে দেখিয়ে।
বেড়াল সকলের চেনা প্রাণি। যে বেড়ালটিকে দেখা গেল তা আবার নাসার অন্দরমহলে বেশ পরিচিত। তাদের এক সহকর্মীর পোষা বেড়াল সেটি। সে কিনা পৃথিবী থেকে বহু বহু দূরে একটি বিন্দুকে ধাওয়া করছে। সেই ছবি সামনে আনল নাসা। যেখানে সেই বেড়ালের রং কেমন, তা কোন প্রজাতির বেড়াল এবং সেই বেড়ালের হার্ট বিট পর্যন্ত দেখিয়ে দিলেন নাসার বিজ্ঞানীরা।
এ কীভাবে সম্ভব? মহাকাশে প্রথম প্রাণি হিসাবে একটি কুকুর গিয়েছিল। কিন্তু এবার তো যে বেড়ালকে মহাশূন্যে দেখা গেল তা পৃথিবী থেকে এতটাই দূরে যে দূরত্বটা পৃথিবী ও চাঁদের মধ্যের দূরত্বের ৮০ গুণ! ৩১ মিলিয়ন কিলোমিটার দূরে টাটার্স নামে সে বেড়াল নাকি একটি লেজার বিন্দুকে ধাওয়া করছে!
নাসার বিজ্ঞানীরা লেজার বিম ব্যবহার করে তাঁদের চেনা একটি বেড়ালের ভিডিও সেই লেজার বিমের সাহায্যে পাঠিয়েছেন মহাশূন্যে। সেই লেজার বিমের সঙ্গে সেই বেড়ালের ভিডিও ছুটছে গভীর মহাশূন্যে। যা একটি পরীক্ষার অঙ্গ।
বিজ্ঞানীরা চাইছেন পৃথিবীর চারধার ছেড়ে মানুষ এবার গভীর মহাশূন্যে পাড়ি দিক। সেজন্য সেই পথের খুঁটিনাটি তাঁদের গোচর হওয়া প্রয়োজন। সেই রাস্তা ও সে পথের যাবতীয় তথ্য তাঁদের হাতের মুঠোয় থাকা দরকার। এজন্য লেজারের সাহায্য নিচ্ছেন বিজ্ঞানীরা।
বিজ্ঞানীরা একটি ভিডিও লেজার বিমটির মধ্যে ঢুকিয়ে দিয়েছেন। ভিডিওটিতে একটি বেড়াল লেজার বিমকে ধাওয়া করছে। সেই ভিডিওটিকেই মহাকাশে পাঠিয়ে বিজ্ঞানীরা লেজার বিমটির গতিপথ নির্ণয় করতে চাইছেন।
এই লেজার বিমকে কাজে লাগিয়ে প্রযুক্তিগত তথ্য বিজ্ঞানীরা গভীর মহাশূন্য থেকে নেওয়ার চেষ্টা করছেন। ধাওয়া করতে চাইছেন তাঁদের পাঠানো বিভিন্ন মহাকাশযানের পথকে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা