মানবসভ্যতার জন্য চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াল এক মহাসমুদ্র
পৃথিবীতে এখন ৫টি মহাসমুদ্র রয়েছে। তারই একটি এবার মানবসভ্যতার জন্য এক বড় চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াল। বিজ্ঞানীরাও বিষয়টি নিয়ে চিন্তায়।
পৃথিবীতে ঐতিহাসিক দিক থেকে ৪টি মহাসমুদ্র ছিল। প্রশান্ত মহাসাগর, আটলান্টিক মহাসাগর, ভারত মহাসাগর, সুমেরু মহাসাগর। তার সঙ্গে আরও একটি মহাসাগর পরে যুক্ত হয়। যাকে বলা হয় কুমেরু মহাসাগর। এই ৫ মহাসাগরের মধ্যে ১টি মহাসাগর এখন গোটা মানবসভ্যতার জন্য চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মানবসভ্যতাকে সংকটে ফেলে দিয়েছে এই মহাসাগর।
বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, এক নিউ ইয়র্ক শহর থেকে বছরে যে পরিমাণ কার্বন ডাই অক্সাইড গ্যাস নির্গত হয় তার ৩ গুণ ক্ষতিকারক কার্বন ডাই অক্সাইড এই মহাসমুদ্রের জল থেকে নির্গত হয়ে বাতাসে মিশছে। যা অবশ্যই বাতাসে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ এক ধাক্কায় বাড়িয়ে দিচ্ছে।
সুমেরু মহাসাগর বা আর্কটিক ওশান হল সেই মহাসমুদ্র যার জলে এখন কার্বন ডাই অক্সাইডের বিষ মিশে আছে। এর বরফ শীতল জল থেকে ক্রমাগত কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গত হচ্ছে।
তবে সুমেরু মহাসাগরে এই কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ বৃদ্ধি করছে একটি নদী। কানাডার ম্যাকেঞ্জি নদীর জলে কার্বন ডাই অক্সাইড প্রভূত পরিমাণে রয়েছে। যা গিয়ে মিশছে সুমেরু মহাসাগরে।
এতে ওই মহাসাগরের জলেও কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ বাড়ছে। যা বাতাসে মিশছে ওই জল থেকে। অন্য নদী থেকেও কার্বন ডাই অক্সাইড সুমেরু মহাসাগরে কতটা মিশছে তা খতিয়ে দেখছেন বিজ্ঞানীরা।
বাতাস ও সমুদ্রের জলের সম্পর্কের সঙ্গে মিশে আছে কার্বন ডাই অক্সাইডের আদান প্রদান। কিন্তু তা যদি স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে বেড়ে যায় তখনই বিপদের চিন্তা ভিড় করে বিজ্ঞানীদের মনে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা