লাল গ্রহের মাটি খুঁড়তে পাড়ি দিল ‘পারসিভিয়ারেন্স’
মঙ্গলে আগেই যান পাঠিয়েছে নাসা। এবার মঙ্গলের মাটি ও বাতাস সম্বন্ধে জানতে পাঠানো হল পারসিভিয়ারেন্স। যা আগামী দিনে সেখানে মানুষ থাকতে পারবে কিনা তা খতিয়ে দেখতে সাহায্য করবে।
ওয়াশিংটন : মঙ্গলে ফের যান পাঠাল নাসা। পৃথিবীর বাইরে মঙ্গল ও চাঁদে মানুষ বসবাসের সুলুক খুঁজে বেড়াচ্ছে। ইতিমধ্যেই মঙ্গলে থাকতে চেয়ে এক কোটির ওপর নামও নথিভুক্ত হয়েছে। কিন্তু মঙ্গলে কী সত্যিই থাকা সম্ভব? সেটাই খতিয়ে দেখতে এবার মঙ্গলে যান পাঠাল নাসা। যা অত্যাধুনিক রোবোটিক সায়েন্টিস্ট অর্থাৎ রোবট বিজ্ঞানী নিয়ে উড়ে যাচ্ছে মঙ্গলের দিকে। বৃহস্পতিবার ভারতীয় সময় বিকেল ৫টা ২০ মিনিটে মঙ্গলের উদ্দেশে পাড়ি দেয় পারসিভিয়ারেন্স।
আমেরিকার ফ্লোরিডার কেপ ক্যানাভেরাল এয়ার ফোর্স স্টেশন থেকে রওনা দিল এই মঙ্গলযান ‘পারসিভিয়ারেন্স’। এটি মঙ্গলে পৌঁছবে আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি। মঙ্গলের ‘জেজেরো ক্রেটার’-এ এটির অবতরণ করার কথা। মঙ্গলের নিরক্ষীয় অঞ্চলে রয়েছে এই ক্রেটারটি। এখানে নামার পর সেখানে শুরু হবে খনন কাজ। মঙ্গলের মাটি খুঁড়ে সেখান থেকে পাথর, মাটি সংগ্রহ করে একটি বিশেষ পাইপে পুরে নেবে রোবট।
এই মাটি ও পাথর ফেরত আসবে পৃথিবীতে। যা পরীক্ষা করে বিজ্ঞানীরা লাল গ্রহ সম্বন্ধে আরও অনেক নতুন তথ্য জানতে পারবেন। জানতে পারবেন সেখানকার মাটির চরিত্র, বাতাসের চরিত্র। বাতাসে কী ধরনের গ্যাস উড়ছে তাও পরিস্কার হবে। যা থেকে তাঁরা এটাও বুঝতে পারবেন যে মঙ্গলে প্রাণের উৎস কতটা রয়েছে। তাছাড়া আগামী দিনে সেখানে মানুষের বসবাস সম্ভব হবে কিনা তাও পরিস্কার হতে পারে এই মাটি বা পাথর খণ্ড পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা