SciTech

মহাশূন্যের ওপারে আলো ঝলমলে ক্রিসমাস ট্রির দেখা পেল নাসা

বড়দিন মানেই তো ক্রিসমাস ট্রি। সেই সুন্দর ক্রিসমাস ট্রি এবার জাগতিক গণ্ডি পার করে জায়গা করে নিল মহাশূন্যের ওপারেও। দেখতে পেল নাসা।

বড়দিনের অন্যতম এক আকর্ষণ ক্রিসমাস ট্রি। পাশ্চাত্য দুনিয়ায় বড়দিনের সময় ক্রিসমাস ট্রি দিয়ে বাড়ি থেকে সেজে ওঠে রাস্তাঘাট, পার্ক, হেরিটেজ ভবন। যার সাজ দেখতে বহু মানুষ সেখানে হাজির হন। এবার সেই বড়দিনের ক্রিসমাস ট্রি দুনিয়ার গণ্ডি পার করে পৌঁছে গেল মহাশূন্যেও।

মহাশূন্যের অনেক গভীরে পৃথিবী থেকে আড়াই হাজার আলোকবর্ষ দূরে এবার এক ক্রিসমাস ট্রির দেখা পেলেন নাসার বিজ্ঞানীরা। মহাশূন্যে এ এক আশ্চর্য দৃশ্য। এক নক্ষত্রপুঞ্জ। যেখানে ভরে আছে নবীন তারারা। যাদের বয়স ১ থেকে ৫ মিলিয়ন বছর।


ফলে এটা পরিস্কার যে অন্য নক্ষত্রদের তুলনায় এই নক্ষত্রপুঞ্জের নক্ষত্ররা অনেক বেশি তরুণ। ফলে তারারা যেন এখানে আরও উজ্জ্বল, ঝলমলে। এই তারাদের পুঞ্জ এমনভাবে তৈরি হয়েছে যে তা দেখতে একদম ক্রিসমাস ট্রির মত।

সাদা আর নীল আলো ঝলমল করছে পুরো ক্রিসমাস গাছের মত নেবুলা জুড়ে। এই নক্ষত্রপুঞ্জের নেবুলাটি অন্য নেবুলার মতই ধুলো ও গ্যাসে ভরা। যা দেখতে সবুজ রংয়ের। তাও আবার ঠিক ক্রিসমাস গাছের মত দেখতে। তার মধ্যে অগুন্তি নীল আর সাদা নক্ষত্র ঝলমল করছে রঙিন আলোর মত।


মহাজাগতিক এই ক্রিসমাস ট্রি এমন এক দৃশ্য উপহার দিয়েছে যা অবশ্যই বড়দিনের উদযাপনকে মহাশূন্যে পৌঁছে দিয়েছে। এর নামই ক্রিসমাস ট্রি ক্লাস্টার।

নাসার চন্দ্র এক্স-রে অবজারভেটরি এই ক্রিসমাস ট্রি ক্লাস্টারের খোঁজ দিয়েছে। পৃথিবী থেকে বহু বহু দূরে মহাশূন্যেও যে এই অপরূপ এক ক্রিসমাস ট্রি ঝলমল করে তা দেখে আপ্লুত বিজ্ঞানী থেকে সাধারণ মানুষ।

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button