৪ হাজার দিন পর এই প্রথম মঙ্গলের বিরল দৃশ্য দেখাল নাসার যান
মঙ্গলগ্রহের এক বিরল দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করল নাসার যান। এই প্রথম সে দৃশ্য দেখার সুযোগ পেল পৃথিবী। তাও ছায়ার খেলায়।
ছায়ার খেলা যে লাল গ্রহের ভোর থেকে বিকেলকে এত সুন্দর করে সকলের দেখার যোগ্য করে তুলতে পারে তা দেখিয়ে দিল নাসার যান কিউরিওসিটি। পৃথিবীতে যেমন সূর্য ওঠে ভোরে। তারপর বিকেলে পাটে যায়। তেমনই হয় লাল গ্রহেও। সেখানেও সূর্য ওঠে, অস্তও যায়।
মঙ্গলগ্রহের স্থানীয় সময় ধরে ভোর সাড়ে ৫টা থেকে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত এই ১২ ঘণ্টা মঙ্গলগ্রহে সারাদিন। এই দিনটা কেমন কাটে, কেমন হয় সূর্যের আলো, কখন ছায়া লম্বা হয়, কখন সূর্য মাথার ওপর থাকে। চারধারটা সূর্যের আলো পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে কীভাবে বদলে যায়, তার সব ছবি স্পষ্ট করে দিল কিউরিওসিটির গায়ে লাগানো হ্যাজ ক্যাম।
২টি ভিডিও সাকুল্যে তুলেছে সে। আর তাতেই ভোর থেকে বিকেলের মধ্যে সারাদিনের বিভিন্ন সময়ে তারই ছায়া মঙ্গলে সূর্যের আলোর গতিবিধি পরিস্কার করে দিয়েছে।
প্রসঙ্গত হ্যাজ ক্যাম হল যাবতীয় হ্যাজার্ড বা ঝঞ্ঝাট এড়ানোর ক্যামেরা। মানে লাল গ্রহের আবহাওয়া যদি ক্যামেরার ছবি তোলার সামনে বাধা হওয়ার চেষ্টা করে তাহলেও এই অতি শক্তিধর ক্যামেরা সেসব মুছে পরিস্কার ছবি তুলে নেবে অনায়াসে।
কিউরিওসিটি তার ৪ হাজার ২ তম মঙ্গল দিবসে গত ৮ নভেম্বর এই ভিডিও তুলে পৃথিবীর মানুষকে লাল গ্রহের পুরো দিনটার গতিবিধি দেখার সুযোগ করে দিয়েছে।
কিউরিওসিটি এখন মঙ্গলের গেডিজ ভালিস শৃঙ্গে রয়েছে। তাই সেখানকার ছবিই পাঠিয়েছে সে। যেখানে সূর্যের আলো ও তার থেকে তৈরি ছায়া একদম পরিস্কার। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা