পঞ্চবাণ ছুঁড়ে চাঁদকে নতুন করে চেনার চেষ্টা করছে নাসা
চাঁদকে জানার জন্য চাঁদে পা রাখা জরুরি। এবার চাঁদে সেই লক্ষ্যে পাঁচে পাঁচ পেতে উড়ে যাচ্ছে নাসা। সাহায্য নিচ্ছে আরও এক ইতিহাসের।
চাঁদের বুকে পা রাখার ক্ষেত্রে ভারত চন্দ্রযান-৩-কে সফল করে গোটা বিশ্বকে চমকে দিয়েছে। তবে শুধু পা রাখাটাই তো সব নয়। ভারতের রোভার প্রজ্ঞান চাঁদের মাটিতে গড়িয়ে অনেক নতুন তথ্যের যোগান দিয়েছে। তথ্য দিয়েছে ল্যান্ডার বিক্রমও। এবার চাঁদের আরও বেশ কিছু সত্য জানতে নাসা তার পঞ্চবাণ প্রয়োগ করছে।
তবে এই কাজে তারা আরও এক ইতিহাসের সাহায্য নিচ্ছে। এই প্রথম কোনও বেসরকারি সংস্থা চাঁদে যান পাঠাতে চলেছে। অবশ্যই সেই মার্কিন সংস্থা যাবতীয় সাহায্য নিচ্ছে নাসার।
নাসাও ওই যানে চাপিয়ে তাদের ৫টি পেলোড পাঠাচ্ছে চাঁদে। এই পাঁচটি পেলোড একসঙ্গে চাঁদে গিয়ে সেখানকার বেশ কিছু বিষয় খতিয়ে দেখবে।
তারা খতিয়ে দেখবে চাঁদের মাটিতে থাকা জলের অণু। এছাড়া চাঁদের মাটিতে নামার পর ল্যান্ডারের তার চারধারে ছড়িয়ে থাকা তেজস্ক্রিয়তা মেপে দেখবে। আরও দেখা হবে ল্যান্ডারের চারপাশে গ্যাসের স্তর।
এতে সূর্যালোকের সঙ্গে চাঁদের মাটি বিক্রিয়া করে কি ধরনের গ্যাস ও তেজস্ক্রিয়তা তৈরি করে তা বুঝতে সুবিধা হবে বিজ্ঞানীদের। এছাড়া চাঁদের বায়ুমণ্ডলের এক্সোস্ফিয়ারও খতিয়ে দেখবে নাসার পাঠানো পেলোড। লুনার এক্সোস্ফিয়ার হল চাঁদের মাটির ওপরের অতি পাতলা গ্যাসের স্তর।
নাসা এই প্রথম চাঁদে ৫টি পেলোড পাঠাতে চলেছে। যা পাড়ি দিচ্ছে অ্যাস্ট্রোবোটিক সংস্থার যানে চেপে। যে যানকে মহাকাশে পৌঁছে দেবে আরও এক বেসরকারি সংস্থা ইউনাইটেড লঞ্চ অ্যালায়েন্সের ভালকান রকেট। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা