SciTech

বড় হচ্ছে গর্ত, স্যাটেলাইটগুলির বড় ক্ষতি হতে পারে, সতর্ক করল নাসা

বিভিন্ন দেশের পাঠানো স্যাটেলাইট বা কৃত্রিম উপগ্রহ বা অন্য মহাকাশযানের বড়সড় ক্ষতি হতে পারে বলে সতর্ক করল মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশ কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করে। পৃথিবী ঘিরে প্রচুর এমন কৃত্রিম উপগ্রহ ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাদের কার্যকারিতা বর্তমান দুনিয়ায় প্রশ্নাতীত। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে মহাকাশযানও ছুটে যায় মহাকাশের বুক চিরে।

কিন্তু সেগুলির বড়সড় ক্ষতি হতে পারে। সে স্যাটেলাইট হোক বা মহাকাশযান, ক্ষতির মুখে পড়তে পারে সেগুলি। কারণ বিশ্বের একটা অংশের চৌম্বকীয় স্তরে তৈরি হওয়া গর্ত ক্রমশ বড় হচ্ছে।


এই গর্তগুলি ক্রমশ চৌম্বকীয় ক্ষমতা ওই অংশে কমিয়ে দিচ্ছে। বিশ্বের ওপর চাদরের মত থাকা এই চৌম্বকীয় স্তর কিন্তু বিশ্বকে বহু মহাজাগতিক বিপদ থেকে রক্ষা করে। আবার মহাকাশে পাঠানো কৃত্রিম উপগ্রহ বা মহাকাশযানকেও কাজ করতে সাহায্য করে।

কিন্তু ক্রমশ দক্ষিণ আমেরিকা ও দক্ষিণ আটলান্টিক মহাসাগরের ওপরের অংশ জুড়ে বিস্তৃত চৌম্বকীয় স্তরে ফুটো বড় হতে শুরু করেছে। ফুটো অবশ্য শুরু হয়েছিল আগেই। ২০০ বছরে ৯ শতাংশ ফুটো বড় হয়েছে। তা এবার আরও বাড়তে শুরু করেছে। আর তা বাড়ছে দ্রুত।


বিশ্বের ওপর লেপ্টে থাকা চৌম্বকীয় স্তরে এই ফুটো বা গর্ত এখনও দৈনন্দিন জীবনে প্রভাব ফেলেনি। কিন্তু এভাবে যদি গর্ত বড় হতেই থাকে তাহলে কিন্তু বিপদ আছে।

দক্ষিণ আমেরিকা ও দক্ষিণ আটলান্টিক মহাসাগরের ওপরের অংশ দিয়ে যখনই কোনও কৃত্রিম উপগ্রহ বা মহাকাশযান যাবে তখনই কিন্তু গর্ত বড় হয়ে গেলে তার প্রভাব পড়বে।

ওই বিশাল অংশের ওপর দিয়ে যখনই কোনও কৃত্রিম উপগ্রহ বা মহাকাশযান যাবে তখনই তাতে শর্টসার্কিট হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হবে। সেই অবস্থা এখনও না এলেও ভয় তৈরি হচ্ছে।

পৃথিবীর ওপর লেপ্টে থাকা চৌম্বকীয় স্তরের পরত সূর্যের তেজস্ক্রিয় কণার হাত থেকে পৃথিবীকে রক্ষা করে। এই গর্ত বাড়তে থাকলে সেই প্রতিরোধ ক্ষমতা কমবে।

যা বিশ্ববাসীর জন্য অবশ্যই চিন্তার কারণ হতে পারে। এই যে চৌম্বকীয় স্তরে গর্ত তা ক্রমশ উত্তর দিকে এগোচ্ছে বলেও জানিয়েছে নাসা।

এদিকে যে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন রয়েছে তাও এই আটলান্টিক অঞ্চলের ওপর দিয়ে যায়। তবে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন অত্যন্ত সুরক্ষিত হওয়ায় সেখানে উপস্থিত মহাকাশচারীদের কোনও সমস্যা হবে না বলে আশ্বস্ত করেছে নাসা। কিন্তু বাকি কৃত্রিম উপগ্রহ ও মহাকাশযান নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশও করেছে তারা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button