মহাশূন্যে তুষার মানবের দেখা পেল নাসা
মহাশূন্যের অজানা তথ্য থেকে দৃশ্য সামনে আনছে মহাকাশ বিজ্ঞান। অতিশক্তিশালী টেলিস্কোপ হাবল এমন কিছুও তুলে আনছে মহাশূন্য থেকে যা থেকে চোখ ফেরানো যাচ্ছেনা।
মহাশূন্য মানেই তো এক অজানা অনন্ত। সেই অসীম অনন্ত মহাশূন্যে কত কিছুই তো লুকিয়ে আছে। যার খবর পৃথিবীর মানুষের কাছে নেই। যদিও এ জানার হয়তো কোনও শেষ হয়না, তবে তার মানে তো এই নয় যে জানার চেষ্টা হবেনা।
মহাকাশ বিজ্ঞানীরা হাত গুটিয়ে বসে নেই। তাঁরা প্রযুক্তিকে হাতিয়ার করে নিরন্তর মহাকাশের অজানা খবর জানার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
নাসার হাবল স্পেস টেলিস্কোপ এমন এক অতি শক্তিধর টেলিস্কোপ যা লক্ষ লক্ষ আলোকবর্ষ দূর থেকেও নানা মহাজাগতিক বিস্ময়ের ছবি তুলে আনছে। যেমন এবার তুলে ফেলল মহাশূন্যে তুষার মানব-এর ছবি।
পৃথিবী থেকে সে তুষার মানব খুব দূরে নেই। ৬ হাজার আলোকবর্ষ দূরেই তার অবস্থান। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এটি আদপে একটি নেবুলা থেকে বেরিয়ে আসা গ্যাস ও ধোঁয়া। যা হালকা ভাবে ধরা দিচ্ছে।
যা জ্বলছে তার আশপাশে থাকা অন্য নক্ষত্রের প্রখর তেজে। ফলে তাকে ঝলমল করতে দেখা যাচ্ছে। এই কুণ্ডলীকে দেখে মনে হচ্ছে যেন তুষার মানব বা স্নোম্যান। তাই নাসা একে ব্যাখ্যা করেছে স্নোম্যান হিসাবে।
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন এই নেবুলাতে যে শক্তিধর ইলেকট্রনগুলি রয়েছে তা তাদের উচ্চ শক্তিস্তর থেকে নিম্ন শক্তিস্তরে পৌঁছতে গিয়ে শক্তি নির্গত করছে। যা আলোর আকারে নির্গত হচ্ছে। যার জেরে নেবুলায় যে গ্যাসের কুণ্ডলী রয়েছে তা ঝলমল করছে।