শুকিয়ে ছোট হয়ে যাচ্ছে চাঁদ, নভশ্চর নামানো নিয়ে চিন্তায় নাসা
চাঁদ ছোট হয়ে যাচ্ছে। আর তার জের নিয়ে চিন্তায় নাসা। চলতি বছরেই নাসা চাঁদে মানুষ পাঠানো নিয়ে চিন্তায় পড়েছে। তার কারণও রয়েছে।
চাঁদ ক্রমশ ছোট হয়ে যাচ্ছে। কারণ কয়েক লক্ষ বছর ধরে চাঁদের অন্তঃস্থল ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে। যত ঠান্ডা হচ্ছে ততই চাঁদ যেন শুকিয়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে ১৫০ ফুট ছোট হয়েছে চাঁদের পরিধি। আর এই ছোট হয়ে যাওয়ার জের পড়ছে চাঁদের মাটির ওপর।
চাঁদের মাটিতে ক্রমশ চন্দ্রকম্প বাড়ছে। মাটি শুকিয়ে যাওয়ায় বড় বড় ফাটল তৈরি হচ্ছে। চাঁদের উপরিভাগের মাটি একে অপরকে ধাক্কা মারছে।
চাঁদের ছোট হতে থাকা চাঁদে চন্দ্রকম্পও বাড়িয়ে দিয়েছে। সব মিলিয়ে এমন এক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে যা নাসার রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে।
২০২৪ সালেই নাসা তার আর্টেমিস ৩ মিশন চাঁদে পাঠানোর কথা ভাবছে। যা মানুষকে চাঁদে নিয়ে যাবে। চাঁদের মাটিতে মানুষের এই পা রাখার জন্য চাঁদের দক্ষিণ মেরু অঞ্চলকে বেছে নেওয়া হয়েছে।
মহাকাশ বিজ্ঞানীরা মনে করছেন এই অংশই নভশ্চরদের চাঁদে পা রাখার জন্য উপযুক্ত। কিন্তু এখন সেই দক্ষিণ মেরু অঞ্চলেই বড় বড় ফাটল তৈরি হয়েছে।
চন্দ্রকম্পের জেরে সেসব ফাটল শুধু তৈরিই হয়নি, এখনও তৈরি হচ্ছে যখন তখন। এই অবস্থায় সেখানে মানুষের পা রাখা তাঁদের বড় বিপদের মুখে ঠেলে দিতে পারে।
তাই এই মিশন নিয়ে এখন নতুন করে ভাবনাচিন্তা শুরু করেছেন বিজ্ঞানীরা। ইতিমধ্যেই চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অনেকগুলি ফাটল দেখতে পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
তাঁরা খতিয়ে দেখেন ৫০ বছর আগে চাঁদে যে ভয়ংকর চন্দ্রকম্প হয়েছিল, তার জেরেই এই ফাটলগুলি তৈরি হয়েছিল। এখন বিজ্ঞানীরা চাঁদের মানচিত্র নির্মাণ ও সেখানকার কম্পনপ্রবণ স্থানগুলিকে বিশেষ ভাবে চিহ্নিতকরণ শুরু করে দিয়েছেন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা