মঙ্গলে প্রাণ থাকার জল্পনা উস্কে দিল নতুন আবিষ্কার
মঙ্গলগ্রহে প্রাণ ছিল কিনা সে প্রশ্ন আদি অনন্তকাল ধরে চলে আসছে। এবার সেই প্রাণের অস্তিত্ব নিশ্চিত করতে এক নতুন খোঁজ পেল নাসার যান পারসিভিয়ারেন্স।
লাল গ্রহে প্রাণ ছিল কি? জল ছিল কি? এমন সব প্রশ্ন দীর্ঘদিন ধরেই চলে আসছে। নাসার পাঠানো পারসিভিয়ারেন্স রোভার লাল গ্রহের জেজেরো ক্রেটারে ঘুরে বেড়াচ্ছে। সেখান থেকে নানা তথ্যও সংগ্রহ করছে। তা মহাকাশ বিজ্ঞানীদের মঙ্গলকে প্রতিদিন নতুন করে চেনাচ্ছে।
এবার সেই পারসিভিয়ারেন্স এমন এক খোঁজ পেল যা বিজ্ঞানীদেরও চমকে দিয়েছে। মঙ্গলে যে প্রাচীনকালে কোনও এক সময়ে একটি বিশাল হ্রদ ছিল তা পরিস্কার করেছে এই যান। যে জেজেরো ক্রেটারে সে ঘুরছে, সেই ক্রেটার বা অতিকায় গর্তের একদম তলায় পারসিভিয়ারেন্স একটি হ্রদের খোঁজ পেয়েছে।
পারসিভিয়ারেন্স যা খোঁজ পেয়েছে তাতে ওখানে একটি বিশাল হ্রদ ছিল। এই হ্রদের জল এক সময় উধাও হয়ে যায়। পড়ে থাকে হ্রদের মাটি।
সেই মাটির স্তরও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ক্রমে ক্ষয়প্রাপ্ত হয়। এরপর যেটা পড়ে থাকে সেটা হল ভূতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য। আপাতত সেই ভূতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য পর্যালোচনা করেই পারসিভিয়ারেন্স নিশ্চিত হয়েছে এই হ্রদের অস্তিত্ব সম্বন্ধে। যা মঙ্গলে প্রাণের অস্তিত্বের কথা ফের একবার জানান দিয়েছে।
৩০ মাইলের ওই ক্রেটারের তলদেশের হ্রদে যে প্রচুর পরিমাণ জল ছিল তা যেমন নিশ্চিত করেছে পারসিভিয়ারেন্স, তেমনই অত জল যখন ছিল তখন সেখানে প্রাণও ছিল বলেই মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।
বিজ্ঞানীরা রাডার থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এটাও জানতে পেরেছেন যে হ্রদের তলদেশে যে মাটির স্তর দেখতে পাওয়া গেছে তা হুবহু পৃথিবীর বিভিন্ন হ্রদের তলদেশে পড়ে থাকা মাটির সঙ্গে সমদৃশ্য। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা