মহাশূন্য থেকে ভেসে আসা রহস্যময় সংকেত, সমাধান সূত্র পেল নাসা
মহাশূন্য থেকে ভেসে আসা রহস্যময় সংকেত চিনতে লড়াই চালিয়ে যাওয়া নাসা অবশেষে এক সমাধান সূত্রের খোঁজ পেল। কীভাবে মিলল এই সাফল্য।
সৌরমণ্ডলের বাইরে এক অনন্ত মহাশূন্য বিরাজ করছে। সেই গভীর মহাশূন্য বা ডিপ স্পেসের সম্বন্ধে জানার লড়াই জোরকদমে চালাচ্ছেন মহাকাশ বিজ্ঞানীরা। অনেকদিন ধরেই মহাকাশ বিজ্ঞানীদের একটি বিষয় ভাবাচ্ছিল। মহাশূন্যের ওপার থেকে ভেসে আসা রহস্যময় সংকেত সম্বন্ধে তাঁরা কিছু জেনে উঠতে পারছিলেননা।
নাসা তার ২টি টেলিস্কোপকে কাজে লাগিয়ে এর সমাধান সূত্র খোঁজার লড়াই চালাচ্ছিল। আর তাতেই মিলেছে এক প্রাথমিক সাফল্য।
নাসার বিজ্ঞানীরা একটি শেষ হয়ে যাওয়া নক্ষত্রের অস্থির আচরণ প্রত্যক্ষ করেছেন। সেই অস্থির নক্ষত্র থেকে ছিটকে বেরিয়ে আসা উজ্জ্বল রেডিও ওয়েভকে তাঁরা পর্যালোচনা করার সুযোগ পেয়েছেন।
আর তা থেকেই বিজ্ঞানীরা বোঝার চেষ্টা করছেন মহাশূন্য থেকে যেসব সংকেত ভেসে আসে তার পিছনে কি রহস্য লুকিয়ে আছে। ঠিক যখন ওই নক্ষত্র থেকে ছিটকে বেরিয়ে আসে ওই রেডিও ওয়েভ তার ১ মিনিটের মধ্যেই সেই রেডিও ওয়েভ সম্বন্ধে জানতে পারেন নাসার বিজ্ঞানীরা।
তবে এই ছিটকে বেরিয়ে আসা রেডিও ওয়েভ মাত্র কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী হয়েছিল। বিজ্ঞানীরা এটা জানতে পেরেছেন এই কয়েক সেকেন্ডে সেই রেডিও ওয়েভ যে পরিমাণ শক্তি বিচ্ছুরিত করতে পেরেছে তা সূর্যের থেকে বিচ্ছুরিত ১ বছরের শক্তির সমান।
এই রেডিও ওয়েভ একটি লেজার রশ্মির মত বিম তৈরি করতে পেরেছিল। এই অতি সামান্য সময়ের জন্য ছিটকে আসা রেডিও ওয়েভ পর্যালোচনা করেই মহাশূন্য থেকে ভেসে আসা রহস্যময় সংকেতের রহস্য উদ্ঘাটনে কিছুটা হলেও সফল হল নাসা। — তথ্যসূত্র — নাসা জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরি