বেণুতে জীবন সন্ধানে তৈরি যান
বেণু-তে ছুটে যাওয়ার তোড়জোড় সম্পূর্ণ। এখন শুধু পাড়ি দেওয়ার অপেক্ষা। অবশ্য তার আগেই বেণুতে জীবনের সন্ধান নিয়ে আশার আলো জাগছে।
আগামী ২০ অক্টোবর বেণুর দিকে যাত্রা শুরু। তার আগে সব তোড়জোড় সম্পূর্ণ। বেণুতে পাড়ি দিয়ে, সেখানে পৌঁছে, সেখান থেকে মাটি, পাথর সংগ্রহ করে ফের পৃথিবীতে ফিরবে ওসিরিস-রেক্স।
এই মহাকাশযান বেণু নামে গ্রহাণুতে পৌঁছবে ২০২১ সালে। তারপর সেখান থেকে মাটি পাথর সংগ্রহ করে ফের পৃথিবীতে ফিরবে ২০২৩ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর।
তখন তার মাটি হাতে পাবেন বিজ্ঞানীরা। তা পরীক্ষা হবে। যা তখন সঠিকভাবে জানান দেবে বেণুতে জীবনের সন্ধান রয়েছে কিনা। তবে তার আগেই বিজ্ঞানীরা অনেকটা নিশ্চিত বেণুতে তাঁরা জীবনের সন্ধান পাবেন।
কেন বিজ্ঞানীদের এমনটা মনে হচ্ছে? বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, বেণু সম্বন্ধে নানা পর্যবেক্ষণ করে তাঁরা মনে করছেন সেখানে রয়েছে ভেজা খনিজ ও জৈব পদার্থ। যা মাটি আনলেই প্রমাণিত হবে। আর তা জীবনের সন্ধান দেবে।
বেণু নামে এই গ্রহাণুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে কার্বন। যা সেখানকার জৈব পদার্থের মধ্যেও মিলতে পারে। আর বায়োলজি বলে এমন কিছু মিললে তাতে প্রাণের অস্তিত্ব পাওয়া যায়।
বিজ্ঞানীরা মনে করছেন বেণুর জমি জুড়ে প্রচুর পরিমাণে কার্বন যুক্ত জৈব পদার্থ ছড়িয়ে রয়েছে। আদপে নাসা এই মিশন করছেই বেণুতে প্রচুর পরিমাণে কার্বন রয়েছে জানতে পেরে।
বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন বেণুর মাটির জন্য তাঁরা এখন অপেক্ষায় রয়েছেন। তা হাতে পেলেই তার ক্ষুদ্রতম কণার পরীক্ষা করা হবে। যা থেকে এক বড় রহস্য উন্মোচিত হতে পারে।
বিজ্ঞানীরা আশাবাদী বেণু থেকে পাওয়া মাটির পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে পৃথিবীর বুকে জল ও জীবন ঠিক কীভাবে এল তাও স্পষ্ট হতে পারে। আপাতত বেণু-র মত আর্দ্র, প্রচুর কার্বনযুক্ত গ্রহাণুর দিকে উড়ে যাওয়ার তোড়জোড়েই ব্যস্ত রয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
অনেক আশা নিয়েই মহাকাশযান পাড়ি দিচ্ছে বেণুর দিকে। সেইসঙ্গে বেণুর মত অতি প্রাচীন গ্রহাণুগুলি কীভাবে সোলার উইন্ড ও কসমিক রে-র কারণে হওয়া বিস্ফোরণে তাদের চরিত্র বদলেছে তাও জানা যাবে এর মাটি পরীক্ষা করে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা