মহাশূন্যে ২ তারায় মানুষ থাকার উপযুক্ত উপাদান, উৎফুল্ল বিজ্ঞানীমহল
মহাশূন্যে যে কি আছে আর কি নেই তা এক বড় রহস্য। যার কূল পাওয়া মুশকিল। তবে এক নতুন আবিষ্কার বিজ্ঞানীদের উৎফুল্ল করে তুলেছে।
মহাশূন্যে কত তারাই তো ভেসে বেড়াচ্ছে। যা গুনে শেষ করা যায়না। প্রতিদিন তারাদের জীবন শেষ হচ্ছে। আবার অন্য কোথাও নতুন তারার জন্মও হচ্ছে। এমনই নতুন জন্ম নেওয়া ২টি তারার খোঁজ পেয়েছে নাসার জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ।
অতিশক্তিশালী এই টেলিস্কোপে ধরা পড়েছে ওই ছোট আকারের ২ প্রোটোটাইপ নক্ষত্রের চারধারে একটি বলয় রয়েছে। যেখানে বরফের মত উপাদান রয়েছে।
আর সেই বরফে রয়েছে অ্যালকোহল, অ্যাসিটিক অ্যাসিডের মত উপাদান। যা মনে করা হয় মানুষের বেঁচে থাকার পরিবেশ তৈরির জন্য উপযোগী।
টাকিলা ও টক জাতীয় ফলের মিশ্রণে এক ধরনের সুরা তৈরি করা হয়। যাকে বলে মার্গারিটা। সেই উপাদান রয়েছে সেখানে। রয়েছে ভিনিগারের মত পদার্থ।
এমনকি পিঁপড়ের হুলে যা থাকে তাও রয়েছে সেখানে। এসবই মানুষের বেঁচে থাকার উপযুক্ত পরিবেশের ইঙ্গিত বহন করে। ফলে ওই ২ নতুন তারার চারধারে থাকা বরফের স্তরে যা রয়েছে তা মানুষের বেঁচে থাকার পরিবেশ তৈরি করতে সক্ষম।
মহাশূন্যে কি আর কোথাও মানুষের বসবাসের যোগ্য পরিবেশ রয়েছে? এ প্রশ্নের উত্তরের খোঁজ তো হয়েই চলেছে। আর সেই প্রশ্নের উত্তরে এ এক নতুন সংযোজন।
যে নতুন ২টি তারার খোঁজ মিলেছে তাদের এখনও কোনও গ্রহ সৃষ্টি হয়নি। যা তাদের কক্ষ ধরে তাদের প্রদক্ষিণ করবে। তবে বিজ্ঞানীরা এটাও দেখেছেন যে ওই বরফের মধ্যে মানুষের বেঁচে থাকার পরিবেশ তৈরির উপাদানগুলি বেশ জটিলভাবে মিশে আছে।
তবে বিজ্ঞানীরা আরও বেশি উৎফুল্ল হয়েছেন এটা দেখে যে সৌরমণ্ডল যখন সৃষ্টি হচ্ছিল তখন তার প্রাথমিক পর্যায়ে যে পরিস্থিতি ছিল, যেসব রাসায়নিকের উপস্থিতি ছিল, এই জোড়া তারার ক্ষেত্রেও ঠিক তেমনই রয়েছে। ফের একটা সৌরমণ্ডল তৈরির পরিস্থিতি দেখতে পাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা।