অভিনব বন্দোবস্ত, চাঁদে গাড়ি চেপে বেড়ানোর ব্যবস্থা করছে নাসা
বিরাট চাঁদের বুকে তো আর হেঁটে ঘুরে বেড়ানো, আশপাশ দেখা সম্ভব নয়। এবার চাঁদের এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাতে সহজে যাওয়া যায় সেজন্য গাড়ি বানাচ্ছে নাসা।
এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় পৌঁছনোর জন্য গাড়ি বা কোনও যান তো লাগেই। হেঁটে তো আর বেশি দূর যাওয়া যায়না। পৃথিবীতে যা বেশি দূরে পৌছনোর শর্ত তা চাঁদের মাটিতেও একইভাবে প্রযোজ্য। নাসা তাই সেই ব্যবস্থায় এবার জোর দিল।
আর্টেমিস মিশনে চাঁদে পৌঁছে মহাকাশচারীরা যাতে চাঁদের একটাই জায়গায় বসে না থেকে নানা প্রান্তে যেতে পারেন, সেজন্য একটি গাড়ি বানাচ্ছে নাসা। এজন্য মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ৩টি সংস্থাকে বরাত দিয়েছে।
ইন্টুইটিভ মেশিনস, লুনার আউটপোস্ট এবং ভেঞ্চুরি অ্যাস্ট্রোল্যাব নামে ৩টি সংস্থা এখন এই গাড়ি তৈরি করবে। চাঁদের চড়াই উৎরাই থাকা মাটি, এবড়োখেবড়ো পাথুরে জমির ওপর দিয়েও দিব্যি যাতে মহাকাশচারীদের নিয়ে গাড়িটি যেতে পারে সেদিকে নজর রেখেই গাড়িটি তৈরি করতে বলা হয়েছে।
এতে মহাকাশচারীদের সুবিধা হবে। চাঁদে পৌঁছে তাঁরা গাড়িতে চেপে চাঁদের নানা জায়গায় দ্রুত পৌঁছে যেতে পারবেন। চাঁদকে আরও ভাল করে দেখার ও পরীক্ষা করার সুযোগ পাবেন মহাকাশচারীরা।
নাসা আর্টেমিস ৫ মিশনে মহাকাশচারীদের নিয়ে চাঁদের বুকে পদার্পণ করবে। তখন সঙ্গে যাবে গাড়িটিও। চাঁদে পৌঁছে চাঁদের নানা জায়গায় এই লুনার টেরেন ভেহিকল বা এলটিভি গাড়িতেই পৌঁছে যাবেন মহাকাশচারীরা।
এতে তাঁদের গবেষণার কাজও অনেক সহজ হবে। এ গাড়ির আরও বড় সুবিধা হল যতক্ষণ মহাকাশচারীরা চাঁদে রইলেন ততক্ষণ তো এই গাড়িতে চেপেই তাঁরা সেখানে ঘুরছেন।
এরপর মহাকাশচারীরা যখন ফের পৃথিবীতে ফিরবেন, তখন গাড়িটি কিন্তু চাঁদেই রেখে আসবেন। গাড়িটি তখন একাই নাসার জন্য চাঁদের বুকে ঘুরে নানা গবেষণার কাজ করবে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা