মহাকাশে মুলো চাষ করলেন নাসার মহাকাশচারী
মহাকাশে এবার মুলো ফলিয়ে তাক লাগিয়ে দিলেন মহাকাশচারীরা। মুলো চাষের কথা জানিয়ে তার সঙ্গে সেই মুলো চাষের ছবিও শেয়ার করেছে নাসা।
ওয়াশিংটন : এখন শীতকাল। আর শীতকালে মুলো ক্ষেত জমিতে ভরে থাকে। কচি মুলো এখন বাজারে সহজলভ্যও। কিন্তু সেই মুলো পৃথিবীর মাটি, জলে ফলতে পারে। তার চাষ হতে পারে। তা বলে মহাকাশে কি তা করা সম্ভব? যেখানে মাটি, বাতাস কিছুই নেই।
আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে অবশ্য কৃত্রিম পরিবেশ তৈরি করে মহাকাশচারীরা হয়তো সেখানে মাসের পর মাস কাটান। গবেষণা করেন। কিন্তু সেখানে তাহলে চাষের উপযুক্ত পরিবেশ কী করা সম্ভব? এবার কিন্তু তেমনই এক তাক লাগানো ঘটনা ঘটল।
নাসা তাদের ওয়েবসাইটে জানিয়েছে মহাকাশে মুলো হয়েছে। আর তা করে দেখিয়েছেন মহাকাশচারী কেট রুবিন্স। তিনি কলম্বাস ল্যাবরেটরিতে প্ল্যান্ট হ্যাবিট্যাট-০২ নাম দিয়ে একটি গবেষণা করেন। আর তাতে সফলও হন। ফলিয়ে ফেলেন ২০টি মুলো।
বিশেষ পদ্ধতিতেই এই মুলো ফলান কেট। তবে তা যে মহাকাশে সম্ভব তা তিনি করে দেখালেন। ফলে বিশ্ব আরও একধাপ এগোনোর সুযোগ পেল।
কেট যে ২০টি মুলো ফলিয়েছেন, তিনি আলাদা আলাদা করে ২০টি প্যাকেটে পুরে সেগুলিকে ঠান্ডা ঘরে রেখে দিয়েছেন। ২০২১ সালে তিনি ফের পৃথিবীতে ফিরে আসবেন। তখন সেগুলি সঙ্গে করে নিয়ে আসবেন। যাতে এখানকার গবেষকরা তা দেখতে পান। হাতে নিয়ে পরীক্ষা করতে পারেন।
পৃথিবীর পরিবর্ত হিসাবে চাঁদ ও মঙ্গলগ্রহে মানুষের বসতি নিয়ে ভাবনা চিন্তা শুরু হয়ে গিয়েছে। আর তারজন্য খাবার ও পানিয় জল আগে জরুরি।
সেই খাবার মহাকাশে বা চাঁদ বা মঙ্গলের মাটিতে ফলানো নিয়েও ভাবনা চিন্তা হচ্ছে। বিশেষ পদ্ধতিতে তা করা যায় কিনা তা নিয়ে গবেষণা করছেন বিজ্ঞানীরা। সেই উদ্যোগে এই মুলো চাষ এক নয়া উদ্ভাবনী হয়ে থাকবে।
এই প্রথম মহাকাশের আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে কোনও ফসল ফলানো হল। তাও কৃত্রিম উপায়ে। কীভাবে মুলোগুলি বড় হল তার একটি ভিডিও শেয়ার করেছে নাসা।
কেন মুলোকে বেছে নেওয়া হল? মুলো বড় হতে ২৭ দিনের মত সময় নেয়। এই অল্প সময়ে মুলো বড় হয় বলেই তাকে বেছে নেওয়া হয়েছে।