এতদিন বিজ্ঞানীরা ভুল জানতেন, ভুল ভাঙাল অনন্য আবিষ্কার
একাকী হিসাবেই এতদিন জানতেন বিজ্ঞানীরা। মহাকাশে চোখ রেখে তাঁরা সে বিষয়ে নিশ্চিত ছিলেন। এতদিনে তাঁদের ভুল ভাঙল। বদলে গেল এতদিনের ধারনা।
বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত ছিলেন যে ওটা একটাই। আজ নয়। সেই ১৯৭০ সাল থেকে তার দিকে নজর রেখে এসেছে বিভিন্ন টেলিস্কোপ। মহাকাশে তার দিকে নজর রেখে অনেক বৈজ্ঞানিক পরীক্ষাও হয়েছে। তাকে দেখে নানা সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন বিজ্ঞানীরা।
বিভিন্ন সময়ে তাকে পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। কিন্তু এত কিছুর পরও আসল জিনিসটাই চোখে পড়েনি বিজ্ঞানীদের। ডব্লিউএল ২০এস নামে যে তারাটিকে তাঁরা এতদিন চিনতেন, সেটি একা নয়।
কিন্তু এতদিন তো একটি তারা হিসাবেই তাকে ব্যাখ্যা করেছেন বিজ্ঞানীরা। সেইমত যাবতীয় সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। সে ব্যাখ্যা কি তবে ভুল? কতকটা তেমনই।
কারণ অতিশক্তিশালী জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ যখন মহাশূন্যের বুকে বহু বহু দূরে থাকা একগুচ্ছ তারায় তৈরি নক্ষত্রমণ্ডলী ডব্লিউএল ২০-এর দিকে নজর দিল, তখন তার চোখে ধরা পড়ল যে এই নক্ষত্রপুঞ্জের একটি তারা হিসাবে যাকে এতদিন চিনতেন সকলে, সেই ডব্লিউএল ২০এস একটি তারা নয়, জোড়া তারা।
২টি তারা মিলে ওটি তৈরি হয়েছে। এতদিন অতটা শক্তিশালী টেলিস্কোপ না থাকায় বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত ছিলেন ওটি একটিই তারা। কিন্তু জেমস ওয়েব সব ধারনা বদলে দিয়েছে। পরিস্কার দেখিয়ে দিয়েছে ওরা জোড়া।
মহাকাশ বিজ্ঞানীরা এটা জানার পর নিজেরাও স্বীকার করে নিয়েছেন এতদিন ধরে তাঁরা যা জানতেন সেটা ভুল ছিল। জেমস ওয়েবের মিড ইনফ্রারেড ইন্সট্রুমেন্ট বা ছোট করে যাকে মিরি বলা হয়, সেই সত্যিটা সামনে এনে দিল। ভুল ভেঙে দিল সকলের।