মঙ্গলগ্রহে ঘুরপথে গিয়ে নতুন নদীর সন্ধান পেল নাসার যান
ঘুরপথে গিয়ে বরং ভালই হল। এক নতুন নদীর দেখা পেল নাসার যান। এই নতুন নদী লাল গ্রহের অনেক রহস্য উদঘাটনে সাহায্য করবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
যে পথে নাসার যান পারসিভিয়ারেন্স-এর যাওয়া স্থির ছিল একরকম শেষ মুহুর্তে সেই পথে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন বিজ্ঞানীরা। কারণ ওই পথে অনেক বোল্ডার রয়েছে। যা পার করে যেতে নাসার যানকে বেগ পেতে হত। তাছাড়া নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছতে বেশি সময়ও লাগত।
তাই বিজ্ঞানীরা স্থির করেন যানটিকে ঘুরপথে একটি বালিয়াড়ির ওপর দিয়ে নিয়ে যাওয়ার। এতে সময়ও কম লাগবে রঙিন পাথর পড়ে থাকা স্থানে পৌঁছতে। যানটিকেও বোল্ডারের কারণে যাতায়াতে বেগ পেতে হবেনা।
এতে পারসিভিয়ারেন্স বেশ ভালভাবেই রঙিন অবাক করা পাথরের জায়গায় পৌঁছে যেতে পারে। তবে এই পথে যাত্রা করতে গিয়ে পারসিভিয়ারেন্স আরও এক নতুন আবিষ্কার করে ফেলেছে। যা দেখে বিজ্ঞানীরা উল্লসিত।
কারণ যানটি যে নদীর দেখা পেয়েছে। যা কোটি কোটি বছর আগে লাল গ্রহে বেশ স্রোতের সঙ্গেই বয়ে যেত, তা লাল গ্রহের জল সম্বন্ধে আরও অনেক তথ্য বিজ্ঞানীদের ঝুলিতে দিতে পারবে বলে মনে করা হচ্ছে।
যে জেজেরো ক্রেটারে পারসিভিয়ারেন্স বড় সময় কাটাল, সেই জেজেরো ক্রেটারের মাটি সম্বন্ধে আরও নতুন তথ্য এই নদীপথ দিতে পারবে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। যা ওখানকার মার্জিন ইউনিট নামে জায়গার কার্বোনেট ও অলিভিনে ভরা মাটির থেকে আলাদা হবে বলেই ধারনা তাঁদের।
এই নদীর জলেই ভেসে আসা পাথরও অবাক করেছে বিজ্ঞানীদের। যা মঙ্গলের মাটিতে দেখতে পাওয়া সাধারণ পাথরের মত নয়। বরং অনেকটাই হালকা রংয়ের। ওজনেও হালকা। আর পাথরের মধ্যে অনেক রং খেলা করছে। রয়েছে ছোট ছোট কালো ডোরা দাগ বা ফুটকির মত বিন্দু। এই পাথরও তাঁদের নতুন অনেক রহস্যের জট খুলে দিতে পারবে বলে মনে করছেন মহাকাশ বিশেষজ্ঞেরা।