মঙ্গলগ্রহে ভুট্টার খইয়ের দেখা পেল নাসার যান
মঙ্গলগ্রহ নিয়ে রহস্য যত কাটছে, ততই ঘনীভূতও হচ্ছে। একটা জায়গা সম্বন্ধে জানতে পারা যাচ্ছে তো অন্য একটি নতুন জায়গায় পৌঁছে চমক দিচ্ছে নাসার যান।
লাল গ্রহে কি রহস্য যে লুকিয়ে আছে তা এখনই বোঝা অসম্ভব। নাসার যান পারসিভিয়ারেন্স যতই নতুন নতুন জায়গায় পৌঁছচ্ছে ততই নতুন রহস্যের জন্ম দিচ্ছে। এমন কিছু তার চোখ দিয়ে বিজ্ঞানীরা দেখতে পাচ্ছেন যা হতবাক করে দিচ্ছে তাঁদের। যেমন এবার পারসিভিয়ারেন্স যেখানে পৌঁছে গেছে তার নামকরণ হয়েছে ব্রাইট অ্যাঞ্জেল।
যেখানে এমন কিছু পাথরের দেখা সে পেয়েছে যা এতদিন ধরে মঙ্গলগ্রহে ঘুরেও তার ক্যামেরা দেখতে পায়নি। এখানে হালকা রংয়ের পাথর ছড়িয়ে আছে। যার গায়ে নানা রং খেলা করছে। গায়ে কালো ডোরা বা ফুটকিও দেখা যাচ্ছে।
নাসার বিজ্ঞানীরা তা দেখার পর প্রাথমিকভাবে মনে করছেন খরস্রোতা নদীর জলে এক সময় এই পাথরগুলি গড়িয়ে এসে এখানে জমা হয়। কিন্তু কীভাবে, কোথা থেকে সে পাথর এল? তার উৎপত্তি কোথায়? সেটা জানার চেষ্টা করছে নাসা।
এমন অন্যরকম রংই বা পাথরগুলির গায়ে এল কোথা থেকে তাও জানার চেষ্টা করতে বিজ্ঞানীরা নাসার যানকে ওই পাহাড়ি অঞ্চলের নতুন জায়গায় পাঠাতে চলেছেন।
মঙ্গলের যেখানে এমন পাথর পাওয়া গিয়েছে সেখানেই রয়েছে একটি পাহাড়। যার নাম বিজ্ঞানীরা দিয়েছেন মাউন্ট ওয়াশবার্ন। এই পাহাড়ের যেখানে হালকা রংয়ের পাথরগুলি পাওয়া গিয়েছে, যার কোণাগুলি বেশ ছুঁচালো, সেখানেই আরও কিছু পাথর দেখতে পাওয়া গিয়েছে।
সেগুলি আকারে খুবই ছোট ছোট এবং গোলাকার। ছোট ছোট গোল গোল পাথরের টুকরো প্রচুর একটা জায়গায় ভরে আছে। যা দেখে বিজ্ঞানীরা মজা করে সেগুলিকে পপকর্ন বলে ডাকছেন।
পপকর্ন যেমন ছোট ছোট গোল গোল এবং প্রচুর একসঙ্গে থাকে, ঠিক তেমনভাবেই মঙ্গলের বুকে একটা জায়গায় প্রচুর এমন পাথর গায়ে গায়ে পড়ে আছে। যার রহস্যও জানার চেষ্টা করছেন বিজ্ঞানীরা।