বৃহস্পতির গায়ে আশ্চর্য লাল ছোপ আসলে কি, জানালেন বিজ্ঞানীরা
বৃহস্পতিগ্রহ হল সৌরমণ্ডলের সবচেয়ে বড় গ্রহ। সেই গ্রহের গায়ে একটা অতিকায় লাল ছোপ দেখতে পাওয়া যায়। সেটা আসলে কি তা জানালেন বিজ্ঞানীরা।
মনে করা হয় সপ্তদশ শতকে এক জার্মান জ্যোতির্বিদ বৃহস্পতির গায়ে এই লাল ছোপটি প্রথম দেখতে পান। তারপর সেই ছোপ মাঝেমধ্যেই দেখতে পেয়েছেন মহাকাশ বিশেষজ্ঞেরা। মাঝে ১১৮ বছরের জন্য তা নাকি একসময় হারিয়েও যায়। ছোপটার খোঁজ মিলছিল না।
২০১৮ সালে নাসার পাঠানো যান জুনো যখন বৃহস্পতিগ্রহের খুব কাছে পৌঁছয়, তখন বৃহস্পতির ছবি তোলে জুনো। সেই ছবিতে ওই লাল ছোপ দেখতে পান নাসার বিজ্ঞানীরা।
এই লাল ছোপটি চিরকালই মহাকাশ বিশেষজ্ঞদের আকর্ষিত করেছে। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, আদপে ওই ছোপ হল একধরনের মেঘ। যা ঘূর্ণায়মান এবং কিছুটা ডিম্বাকৃতি। প্রায় সাড়ে ৩০০ কিলোমিটার জায়গা জুড়ে ওই ঘূর্ণায়মান মেঘটি অবস্থান করছে। যার নিচে প্রবল ঝড়ও বয়ে যায়।
জুনোর পাঠানো ছবি দেখে বিজ্ঞানীদের পক্ষে ওই লাল ছোপকে আরও ভাল করে পরীক্ষার সুযোগ হয়। যা থেকে তাঁরা নিশ্চিত যে বৃহস্পতির ওই লাল ছোপ আদপে একটি ঘূর্ণায়মান মেঘ।
জুনো বৃহস্পতির অত কাছে না পৌঁছতে পারলে ওই লাল ছোপ নিয়ে নানা ব্যাখ্যা হতে পারত, কিন্তু সেই সঙ্গে তা একটা রহস্যও হয়ে থাকত। যা এখন অনেকটাই পরিস্কার বিজ্ঞানীদের কাছে।
কারণ বিগত ৩০০ বছরের ওপর ধরেই বৃহস্পতির গায়ে ওই লাল ছোপ বিজ্ঞানীদের অবাক করেছে। শুধু লাল ছোপটি বলেই নয়, জুনোর পাঠানো ছবি বৃহস্পতিগ্রহ সম্বন্ধে অনেক পুরনো ধারনা ভেঙে স্পষ্ট ধারনা দিতে সাহায্য করেছে।