মঙ্গলগ্রহে কী এখনও আছে জল, জানাল নাসা
লালগ্রহ মঙ্গলে জলের অস্তিত্ব ছিল। আর সেই জলের অনেকটাই এখনও লুকিয়ে আছে সেই গ্রহেই। কোথায় তার হদিশ দিল নাসা।
ওয়াশিংটন : মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা-র পারসিভিয়ারেন্স মিশনটি যে আজ অবধি যতগুলি মঙ্গল অভিযান হয়েছে তার মধ্যে অন্যতম সফল তার প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে হাতেনাতে। কিছুদিন আগেই মানুষ শুনতে পেয়েছিলেন মঙ্গলে বয়ে যাওয়া হাওয়ার আওয়াজ।
উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন যন্ত্রপাতি দিয়ে লালগ্রহের আওয়াজ ঘরে বসে শুনেছিলেন বিশ্ববাসী। এখন জানা গেল মঙ্গলের জল সংক্রান্ত কিছু চমকপ্রদ তথ্য। যা জানাল লালগ্রহে কোথায় লুকিয়ে আছে তার বিপুল জলরাশি।
ক্যালিফোর্নিয়া ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজি ও নাসার জেট প্রপালশন ল্যাবের সম্মিলিত গবেষণা থেকে জানা গেছে এখন থেকে ৪০০ কোটি বছর আগে মঙ্গলের মাটিতে জলের অস্তিত্ব ছিল। সেই জল খুব কম মাত্রায় ছিল এমনটাও নয়। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন পৃথিবীর আটলান্টিক মহাসাগরে যত জল আছে তার প্রায় অর্ধেকটাই মঙ্গলের সমুদ্রে ছিল।
এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য সারা বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। পুরো গ্রহকে বেষ্টিত করে রাখত ১০০ থেকে ১৫০০ মিটার গভীর এই সমুদ্র। এখন প্রশ্ন এত বড় সমুদ্রের জল কোথায় গেল? মঙ্গল তো এখন শুষ্ক গ্রহ বলেই পরিচিত।
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন মঙ্গলের মাধ্যাকর্ষণ শক্তি কম হওয়ায় মঙ্গলের জল কিছুটা মহাকাশে মিশে গেছে। তবে বিজ্ঞানীরা এও জানিয়েছেন যে সবটুকু জল মহাকাশে মিশে যেতে পারেনি। অনেকটাই মঙ্গলের মাটিতে রয়ে গেছে।
বিগত দশকগুলি ধরে মঙ্গলে যে মিশনগুলি হয়েছে তার থেকে পাওয়া তথ্যের সাথে সদ্য প্রাপ্ত তথ্যগুলি মিলিয়ে গবেষকরা বিশ্লেষণ করে দেখেছেন মঙ্গলের পৃষ্ঠে যে পরিমাণ জলীয় খনিজ দ্রব্য রয়েছে তা মঙ্গলে জলের উৎসের হারিয়ে যাওয়ার দিককেই ইঙ্গিত করে।
এই খনিজগুলির মধ্যেই রয়েছে মঙ্গলের জলরাশির বাকি অংশ। যার পরিমাণ মোট জলরাশির ৩০ শতাংশ থেকে ৯৯ শতাংশ হতে পারে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা