মহাকাশ বিজ্ঞানে অবিশ্বাস্য সাফল্য, শুক্রগ্রহে পৌঁছল জনপ্রিয় গান
শুক্রগ্রহে মানুষ পৌঁছতে না পারলেও মানুষের গাওয়া একটি অতি জনপ্রিয় গান পৌঁছে গেল সেখানে। তাও আবার অতি অল্প সময়ের মধ্যেই।
পৃথিবীর বুকে নানা প্রান্তে নানা গান তৈরি হয়। মানুষের মন প্রাণ ভরিয়ে দেয়। সে বাংলার রবীন্দ্র সঙ্গীত হোক বা পাশ্চাত্যের হিপ হপ, জনপ্রিয় হয়ে যায় নানা গান। এমনই এক জনপ্রিয় গান পৃথিবী থেকে পৌঁছে গেল শুক্রগ্রহে।
শুক্রগ্রহে এই প্রথম পৃথিবীর কোনও গায়কের গাওয়া গান পৌঁছল। মনে হতেই পারে সেখানে কে শোনার জন্য বসে আছেন! না শুক্রগ্রহে গান শোনার কেউ নেই। কিন্তু পৃথিবী থেকে শুক্রগ্রহে যে গান পৌঁছে যেতে পারে সেটাও কেউ ভেবেছিলেন কি?
এই অসাধ্যসাধন করল মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। ক্যালিফোর্নিয়ায় রয়েছে নাসার জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরি। তারাই মিসি ইলিয়টের গাওয়া একটি বিখ্যাত হিপ হপ গান ‘দ্যা রেন’-কে শুক্রগ্রহে পাঠিয়েছে।
শুক্রগ্রহে গানটি পৌঁছতে সময় নিয়েছে ১৪ মিনিট। আলোর গতিতে গানটিকে শুক্রগ্রহে পাঠানো হয়। এই প্রথম কোনও হিপ হপ গান মহাশূন্যে পাড়ি দিল।
গায়ক মিসি ইলিয়টের অত্যন্ত পছন্দের গ্রহ হল শুক্রগ্রহ। শক্তি, ক্ষমতা ও সৌন্দর্যের জন্য শুক্রগ্রহ তাঁর ভীষণ পছন্দের। সেখানে তাঁর এক সৃষ্টি পৌঁছে যাওয়ায় নিজের খুশি ব্যক্ত করতে দ্বিধা করেননি ইলিয়ট।
ক্যালিফোর্নিয়ার বারস্টো নামে জায়গা থেকে গোল্ড স্টোন ডিপ স্পেস কমিউনিকেশনস কমপ্লেক্স থেকে ইলিয়টের গাওয়া দ্যা রেন গানটিকে শুক্রগ্রহের দিকে পাঠানো হয়। যা ১৪ মিনিট পর সফলভাবেই শুক্রগ্রহে পৌঁছে যায়। মহাকাশ বিজ্ঞানের ইতিহাসে এ এক যুগান্ত সৃষ্টি করল। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা