টাকাকড়ির টানাটানিতে থমকে গেল চাঁদের মাটিতে ১০০ দিনের কাজ
চাঁদের মাটিতে ১০০ দিনের কাজ গেল থমকে। স্রেফ টাকাকড়ির টানাটানিতে এভাবে মাঝপথেই থমকে গেল সব কিছু। ইতিমধ্যেই অবশ্য গলে গেছে অনেক টাকা।
শুধু চাঁদে, মঙ্গলে বা অন্য কোনও গ্রহ গ্রহান্তরে পাড়ি দিলেই হবেনা, তার খরচ খরচাটাও মাথায় রাখতে হয়। আর সেটা যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা নাসার একটি চমকে দেওয়া সিদ্ধান্তে প্রমাণ হয়ে গেল।
চাঁদে কার্যত ১০০ দিনের কাজের বন্দোবস্ত পাকা করেছিল নাসা। ২০২৫ সালে একটি রোবোটিক মিশনের ব্যবস্থা করে ফেলেছিল নাসা। যা চাঁদের দক্ষিণ মেরুর কাছে নামবে।
যন্ত্রটি রোবোটিক শর্ত মেনে স্বয়ংক্রিয়। যার কাজ ছিল ১০০ দিনের জন্য সেখানে টানা কাজ চালিয়ে যাওয়া। কাজও একটিই। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে বরফের খোঁজ করা। এটাই ছিল ভোলাটাইলস ইনভেস্টিগেটিং পোলার এক্সপ্লোরেশন রোভার বা ভাইপার মিশনের কাজ।
চাঁদের মাটিতে এই রোবোটিক যানকে পাঠানোর জন্য অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছিল নাসা। ইতিমধ্যেই এই মিশনের পিছনে ৪৫০ মিলিয়ন ডলার, যা ভারতীয় মুদ্রায় ৩ হাজার ৭৬৩ কোটি টাকার কিছু বেশি, তা খরচ করে ফেলেছে নাসা।
এই বিপুল অর্থ ব্যয় করে এতদূর এগিয়ে যাওয়ার পর অবশেষে অর্থাভাবে থমকে গেল এই মিশন। যদিও নাসার তরফে এটা জানানো হয়েছে মিশন খুব ভালভাবেই এগোচ্ছিল। সব ঠিকঠাক তৈরি হচ্ছিল। কিন্তু অর্থের সমস্যায় এই মিশনকে থামাতে হল।
এরফলে ৮৪ মিলিয়ন ডলার বেঁচে গেল নাসার। তবে চাঁদে এই যন্ত্রকে পাঠানো আপাতত স্থগিত হয়ে গেল। যদিও চাঁদে মানুষ পাঠানোর উদ্যোগ চালিয়ে যাচ্ছে নাসা।