ইতিহাস গড়ল নাসা, ছক্কা হাঁকিয়ে পার ৫৫০০
৬টার খবর পাওয়া গেল একসঙ্গে। কার্যতই ছক্কা হাঁকাল নাসা। আর তার সঙ্গেই ইতিহাসের পাতায় নাম তুলে ফেলল তারা। এ এক অসামান্য কৃতিত্ব।
এই সৌরমণ্ডলকে চেনার পর সেখানেই থেমে যায়নি মহাকাশ বিজ্ঞান। বিজ্ঞানীরা সৌরমণ্ডলের বাইরেও কি রয়েছে তার খোঁজ নেওয়া চালাতে থাকেন। ক্রমে তাতে সাফল্যও আসতে থাকে। এখন তো একাধিক অতিশক্তিশালী টেলিস্কোপ কোটি কোটি আলোকবর্ষ দূরের গ্রহ নক্ষত্রের খবরও এনে দিচ্ছে।
অথচ বেশিদিন আগের কথা নয়। ১৯৯২ সালেই পৃথিবী জানতে পেরেছিল সৌরমণ্ডলের বাইরেও গ্রহ ভেসে বেড়াচ্ছে মহাশূন্যে। ২টি গ্রহের দেখা পান বিজ্ঞানীরা। সৌরমণ্ডলের বাইরের সেই ২টি গ্রহ ছিল পোলটারজিস্ট এবং ফোবেটর।
১৯৯২ সালে সৌরমণ্ডলের বাইরের ২টি গ্রহকে প্রথম চেনার পর থেকে একের পর এক এমন গ্রহের খোঁজ চালিয়ে গেছেন বিজ্ঞানীরা। সাফল্যও এসেছে। প্রযুক্তিগত উন্নতি তাঁদের এই কাজকে আরও গতি দেয়।
এবার সেই সৌরমণ্ডলের বাইরের গ্রহ চেনার সংখ্যাটা সাড়ে ৫ হাজার পার করল। ৬টি নতুন গ্রহের সন্ধানের হাত ধরে সাড়ে ৫ হাজারের মাইলফলক পার করেন বিজ্ঞানীরা।
অবশ্যই ৩০টা বছর মাত্র পার করে ১ থেকে সাড়ে ৫ হাজার গ্রহের সম্বন্ধে জানতে পারা মহাকাশ বিজ্ঞানে একটা ইতিহাস রচনা করা। ৬টি নতুন গ্রহের সন্ধানের হাত ধরে নাসার চেনা সৌরমণ্ডল পারের গ্রহের সংখ্যা দাঁড়াল ৫৫০২টি।
তবে শুধু গ্রহ বলেই নয়, এখন কোটি কোটি আলোকবর্ষ দূরের নক্ষত্রপুঞ্জ থেকে কৃষ্ণগহ্বর, নতুন নক্ষত্রের জন্ম থেকে নক্ষত্রের শেষ হয়ে যাওয়া, সবই অনায়াসে জেনে ফেলছে শক্তিধর টেলিস্কোপগুলি। যা মহাকাশের রহস্যকে কিছুটা করে হলেও জানতে সাহায্য করছে বিজ্ঞানীদের।