সামনেই চাঁদ সফর, তার আগে অসম্ভবকে সম্ভব করে দেখালেন বিজ্ঞানীরা
নাসা তো বটেই, সারা বিশ্বই এখন চাঁদে মানুষের সফর নিয়ে উদগ্রীব। আর্টেমিস মিশনের আওতায় চাঁদে মানুষ যাওয়ার আগে এবার এক অসম্ভবকে সম্ভব করে দেখাল নাসা।
আর্টেমিস মিশনে চাঁদে মানুষ পাঠানোর সবরকম উদ্যোগ শুরু হয়ে গেছে। চাঁদে মানুষ নামাই নয়, সেখানে নানা পরীক্ষাও করবেন তাঁরা। এখন আবার মানুষের চাহিদা বেড়েছে। চাঁদে গিয়ে মানুষ পৌঁছনোর পর তাঁরা ছবি তুলবেন। তারপর তা পাঠাবেন। তারপর তা প্রকাশিত হবে।
এত ধৈর্য বিশ্ববাসীর নেই। তাঁরা চান সব লাইভ দেখতে। এখন সবকিছুই লাইভ বা সরাসরি দেখার অভ্যাস হয়ে গেছে মানুষের। এবার সেই রাস্তা পাকা করতে এই প্রথম এক অভিনব সাফল্য পেল নাসা।
একটি বিমান থেকে বিজ্ঞানীরা ৪কে উচ্চ প্রযুক্তির ছবি পাঠিয়েছিলেন আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে। যা লেজার কমিউনিকেশন প্রযুক্তি ব্যবহার করে পাঠানো হয়।
সেই ছবি সঠিকভাবেই পৌঁছে যায় আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে। সেখান থেকে আবার সেই ৪কে প্রযুক্তির ছবি ফেরত আসে বিমানটিতে। এই প্রথম লেজার কমিউনিকেশন প্রযুক্তির মাধ্যমে মহাকাশে ৪কে ছবিকে এভাবে আনাগোনা করানো সম্ভব হল।
এরফলে মহাকাশে মহাকাশচারীদের ঘোরাফেরা হোক বা চাঁদে মানুষের পাদচারণা, সবই পৃথিবীর মানুষের কাছে লাইভ পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হতে চলেছে। তাও আবার অতি উন্নত প্রযুক্তি সম্পন্ন ছবিতে।
ছবির মান সেক্ষেত্রে অত্যন্ত উন্নত হতে চলেছে। ফলে ঝকঝকে ছবি পাবেন বিজ্ঞানীরা। প্রসঙ্গত রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি সিস্টেমের চেয়ে ১০ থেকে ১০০ গুণ গতিতে তথ্য আদানপ্রদান করা যায় লেজার কমিউনিকেশন প্রযুক্তির মাধ্যমে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা