বদলাতে পারে মঙ্গলের ইতিহাস, এবার ছাদে চড়ছে নাসার যান
নাসার যান পারসিভিয়ারেন্স রোভার মঙ্গলের মাটিতে ঘুরে যা তথ্য এখনও দিয়েছে তা আরও বদলে যেতে পারে। এবার সেই নতুন এবং কঠিন পথে গড়াতে চলেছে সে।
সাড়ে ৩ বছর হয়ে গেছে নাসার রোবোটিক যান পারসিভিয়ারেন্স রোভার মঙ্গলগ্রহে পা রেখেছে। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সেই যে সে মঙ্গলগ্রহে পা রেখেছে তারপর থেকে পারসিভিয়ারেন্স জেজেরো ক্রেটারের তলদেশের মাটিতেই নানা প্রান্তে ঘুরেছে। প্রচুর তথ্য সংগ্রহ করেছে। আর সেসব তথ্য মঙ্গলগ্রহকে নতুন ভাবে চিনতে, তার নানা রহস্য জানতে বিজ্ঞানীদের সাহায্য করেছে।
প্রায় ১৮ মাইল পথ পারসিভিয়ারেন্স অতিক্রম করেছে এই পর্যন্ত। যাতে মূলত জেজেরো ক্রেটারের তলদেশ এবং নদী বদ্বীপ অঞ্চল পরীক্ষা করেছে। ২২টি জায়গা থেকে লাল গ্রহের নমুনা পাথর সংগ্রহ করেছে।
এবার আর তার জেজেরোর তলদেশে থাকার দরকার নেই। এবার সে তলদেশ থেকে ঢাল বেয়ে উপরে উঠে আসবে। আসবে জেজেরোর মাথায়।
এবার সেখানেই তার কাজ শুরু হবে। নাসার বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, জেজেরোর ঢাল ধরে উপরে উঠে এসে সেখানে এমন কিছু তথ্য পারসিভিয়ারেন্স পেতে পারে যা লাল গ্রহের ইতিহাস বদলে দিতে পারে।
এই ঢাল বেয়ে ওঠাটা একটা বড় চ্যালেঞ্জ পারসিভিয়ারেন্সের কাছে। এতদিন জেজেরোর তলদেশে মোটামুটি সমতলেই ঘুরেছে সে। এবার তার ঢাল বেয়ে ওঠার পালা।
জেজেরোর ছাদে ২টি জায়গা ‘পিকো টারকুইনো’ এবং ‘উইচ হ্যাজেল হিল’-এ পরীক্ষা চালাবে পারসিভিয়ারেন্স। মঙ্গলগ্রহে না নেমেও তাকে প্রদক্ষিণ করা যান থেকে পাওয়া তথ্য পরীক্ষা করে বিজ্ঞানীরা অনুমান করছেন জেজেরোর ছাদে পৌঁছতে পারলে সেখানে বহু প্রাচীন কয়েকটি ফাটল দেখতে পাবে পারসিভিয়ারেন্স। যা হয়তো জল থেকেই তৈরি হয়েছিল। — তথ্যসূত্র — নাসা জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরি