SciTech

বেড়ে চলা উষ্ণতায় লাগাম দিতে যুগান্তকারী পদক্ষেপ, মহাকাশে গেল বিশেষ কৃত্রিম উপগ্রহ

বিশ্ব উষ্ণায়ন পৃথিবীর সামনে এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। যাতে লাগাম দেওয়া জরুরি। সেই লাগামের রাশ এবার ভাসতে শুরু করল মহাশূন্যে।

বিশ্ব উষ্ণায়ন যে দ্রুততার সঙ্গে পৃথিবীর আবহাওয়া বদলে দিচ্ছে, যেভাবে তার ভয়ংকর কুপ্রভাব ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বের প্রতি কোণায়, যেভাবে গরম বেড়ে চলেছে তাতে মানবসভ্যতাই আগামী দিনে সংকটের মুখে। আর তা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা।

তাই তাঁরা যত দ্রুত সম্ভব, মানে কার্যত যুদ্ধকালীন তৎপরতায় তাতে লাগাম দিতে চাইছেন। নাহলে বিপদ এড়ানো অসম্ভব হয়ে উঠতে পারে। বিশ্ব উষ্ণায়নের বীজ লুকিয়ে আছে গ্রিন হাউস গ্যাসে। গ্রিন হাউস গ্যাস হল কার্বন ডাই অক্সাইড, মিথেন, ক্লোরোফ্লুরোকার্বন, নাইট্রাস অক্সাইড, ওজন এবং জলীয় বাষ্প।


পৃথিবীর নানা প্রান্ত থেকে নির্গত কার্বন ডাই অক্সাইড এবং মিথেন সেই গ্রিন হাউস গ্যাস যা এই বিশ্ব উষ্ণায়নের মূল কারণ। নাসা এবার সেই গ্রিন হাউস গ্যাস পৃথিবীর ঠিক কোথা কোথা থেকে কখন সবচেয়ে বেশি নির্গত হচ্ছে তাতে নজরদারি করতে মহাকাশে একটি কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠিয়েছে।

গত শুক্রবার স্পেসএক্স ফ্যালকন ৯ রকেটে চেপে ক্যালিফোর্নিয়ার ভ্যানডেনবার্গ স্পেস ফোর্স বেস থেকে পাড়ি দেয় এই ইমেজিং স্পেকট্রোমিটার। কৃত্রিম উপগ্রহটির নাম ‘তানাজার-১’।


তার কাজ মহাকাশ থেকে পৃথিবীর সব প্রান্তে নজর রাখা। যেখানেই গ্রিন হাউস গ্যাসের অতিরিক্ত নির্গমন সে দেখতে পাবে বা যেসব জায়গা থেকে গ্রিন হাউস গ্যাস সবচেয়ে বেশি নির্গত হয় তার মানচিত্র সে তৈরি করবে। তথ্য পাঠাবে পৃথিবীতে বসা বিজ্ঞানীদের কাছে।

এতে গ্রিন হাউস গ্যাসের নির্গমন মাত্রা কমানো সম্ভব হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা। কারণ সেক্ষেত্রে যেখান থেকে গ্রিন হাউস গ্যাসের নির্গমন সবচেয়ে বেশি সেখানে পদক্ষেপ করা সম্ভব হবে।

এমন গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গমন সংক্রান্ত তথ্য সরবরাহ করা কৃত্রিম উপগ্রহ এই প্রথম মহাকাশে কাজ শুরু করল। এটা অবশ্যই নাসার এক বড় সাফল্য।

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button