SciTech

মহাশূন্যে উঁকি দিয়ে চোখ জুড়নো ফুলের বাগান দেখে ফেলল নাসার টেলিস্কোপ

লাল গোলাপের বাগান চোখ জুড়িয়ে দিতে পারে। তেমন বাগান রয়েছে মহাশূন্যেও। সৃষ্টি রহস্য অবশ্য একেবারেই আলাদা। তাই দেখে ফেলল নাসার হাবল স্পেস টেলিস্কোপ।

সৌরমণ্ডল যে নক্ষত্রপুঞ্জের মধ্যে বিরাজ করছে তার নাম মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সি বা আকাশগঙ্গা ছায়াপথ। যার মধ্যে সৌরমণ্ডলের মত বহু নক্ষত্র জগতই রয়েছে। আবার মহাশূন্যে মিল্কিওয়ের মত অগুন্তি নক্ষত্রপুঞ্জ রয়েছে।

এদের মধ্যে মিল্কিওয়ের সবচেয়ে কাছে রয়েছে অ্যান্ড্রোমিডা নক্ষত্রপুঞ্জ। চেহারা ও ব্যাপ্তিতে অনেকটা মিল্কিওয়ের মতই। বিজ্ঞানীরা আগেই জানিয়েছেন এরা বেশিদিন আলাদা থাকবেনা।


আকাশগঙ্গা এবং অ্যান্ড্রোমিডার মধ্যে সংঘর্ষ হবে। তারপর একটি নতুন কিছু তৈরি হবে। এই সংঘর্ষ সংঘটিত হতে এখনও ২ থেকে ৪ বিলিয়ন বছর দেরি।

আকাশগঙ্গা ছায়াপথ যেমন বিজ্ঞানীদের কাছে একটি গবেষণার বিষয়, এখন উন্নত প্রযুক্তির হাত ধরে আড়াই মিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরে অবস্থানরত অ্যান্ড্রোমিডা নক্ষত্রপুঞ্জ নিয়েও গবেষণার অন্ত নেই।


এই অ্যান্ড্রোমিডা নক্ষত্রপুঞ্জের আনাচেকানাচে দেখে বেড়াচ্ছিল হাবল স্পেস টেলিস্কোপ। পৃথিবীর অন্যতম শক্তিধর টেলিস্কোপ। যা মহাশূন্যের অনেক রহস্য উন্মোচনে বিজ্ঞানীদের সাহায্য করে ফেলেছে ইতিমধ্যেই।

সেই হাবলের নজরে পড়ে আয়োনাইজড গ্যাসের সারি। যে অংশে সেটি দেখা যায় সেখানে কোথাও নক্ষত্র তার জীবনকাল শেষ করছে। আবার কোথাও সবে একটি নক্ষত্র জন্ম নিচ্ছে।

এই প্রচুর নক্ষত্র ঝলমল করছে হাইড্রোজেন গ্যাসের ছোঁয়ায়। এই পুরো অংশটার নক্ষত্র লালচে হয়ে জ্বলছে। আর তা যেন অন্ধকার মহাশূন্যের বুকে একটি লাল গোলাপের বাগান তৈরি করেছে।

অনেকটা তেমনই দেখতে লাগছে। হাবল স্পেস টেলিস্কোপের চোখে সেটাই ধরা পড়েছে। এ ছবিও সে তুলে ফেলেছে। যা এখন অ্যান্ড্রোমিডার গোলাপ বাগান হিসাবেই ব্যাখ্যা করছেন বিজ্ঞানীরা।

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button