বরফ সমুদ্রের নিচে কি লুকিয়ে আছে, রহস্যভেদে নতুন উদ্যোগ
চারধারে যতদূর নজর যায় শুধু বরফ আর বরফ। সেই বরফের সমুদ্রের তলার রহস্য উন্মোচনে এবার একদম অন্য পথে শুরু হল হাঁটা।
যতদূর নজর যায় শুধুই বরফ। সাদা দুধের মত বরফের পুরু চাদরের ওপর দাঁড়ালে কামড় বসায় কনকনে ঠান্ডা। উত্তর মেরুর সেই বরফের অতি পুরু চাদর অনেক নিচ পর্যন্ত চলে গেছে। এ এক সমুদ্র।
আলাস্কার উত্তর প্রান্তে বিউফোর্ট সাগরের অনেকটাই বরফে ঢাকা। আর সেই বরফে ঢাকা সমুদ্রের নিচে রয়েছে এক জগত। সেখানে রয়েছেটা কি? সে সাগরের একদম তলদেশে কারা থাকে? কি রয়েছে সেখানে?
সেখানে মানুষ পৌঁছতে পারেনি। ফলে তা এক রহস্যই থেকে গেছে। তবে রহস্য বেশিদিন রাখতে পছন্দ করেনা বুদ্ধিমান মানুষ। তারা চায় রহস্যভেদ। আর সেই রহস্য ভেদ করতে এবার নাসা এক অভিনব উদ্যোগ শুরু করল।
তারা বিউফোর্ট সাগরের ওপর থাকা পুরু বরফের চাদরে একটি গর্ত খুঁড়েছে। যেমন বোরওয়েল হয়, তেমনই এক্ষেত্রে বরফ কেটে বোরওয়েল বানানো হয়েছে। একটি সিলিন্ডারের মত চেহারার যন্ত্র দিয়ে সেই বোরওয়েল তৈরি করা হয়েছে। যা নেমে গেছে বরফেরও নিচে থাকা অংশে।
সেখান থেকে কিছু তথ্যও সংগ্রহ করেছে। এবার সেই গর্ত দিয়েই নেমে যাবে নাসার রোবট। এআই ক্ষমতা সম্পন্ন সেই রোবটের কাজ হবে এই বরফ সাগরের তলার সব রহস্যে জেনে নেওয়া।
সেই সঙ্গে আরও এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ করবে রোবটটি। সে তলদেশে নেমে বরফ কত দ্রুত গলছে সে সম্বন্ধে তথ্য দেবে। এটা সকলের জানা যে বিশ্ব উষ্ণায়নের কুপ্রভাবে মেরু অঞ্চলের বরফের স্তর পাতলা হচ্ছে। তা গলে যাচ্ছে।
পৃথিবীর ২ প্রান্তের মেরুতে জমে থাকা অনন্ত বরফের স্তর যদি সত্যিই গলে জল হয়ে যায় তাহলে গোটা বিশ্বের ভূভাগ কার্যত জলে ভেসে যাবে। সমুদ্রের জলস্তর এতটাই বৃদ্ধি পাবে যে স্থলভাগ রক্ষা অসম্ভব হয়ে দাঁড়াবে। যা মানবসভ্যতাকেই ধ্বংস করে দিতে পারে। তাই বরফের গলন প্রক্রিয়াকে আরও ভাল করে বুঝতে চাইছেন নাসার বিজ্ঞানীরা।