গ্রহণের সময়ই এই ঢেউয়ের তরঙ্গ ওঠে, বেলুন দিয়ে রহস্যভেদ করল ছাত্ররা
বিষয়টি নিয়ে বিজ্ঞানী মহলে একটা সন্দেহ ছিলই। এবার সেই সন্দেহ দূর করে দিল একদল ছাত্র। পড়ুয়ারা নতুন দিগন্ত খুলে দিল।
গ্রহণ হলে পৃথিবীর বুকে কি কি হয় তার একটা তালিকা তো রয়েছেই। কিছু অভিজ্ঞতা, কিছু দীর্ঘ পর্যবেক্ষণ আর কিছু বৈজ্ঞানিক ভিত্তিতে সে তালিকা তৈরি। আবার তার সঙ্গে মিশে থাকে মানুষের নানা বিচিত্র বিশ্বাসও। যা আদি অনন্ত কাল ধরে চলে আসছে।
তবে গ্রহণ একটি মহাজাগতিক ঘটনা। যার মধ্যে নতুন কিছু নেই। যেটা একদল ছাত্র নতুন জানাল তা বিজ্ঞানীদের সন্দেহের তালিকায় অনেকদিনই ছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল ছাত্র বেলুন দিয়ে এক দীর্ঘ সন্দেহের অবসান করেছে।
গত ১৪ অক্টোবর ২০২৩ সালে সূর্যগ্রহণ চলাকালীন মার্কিন মুলুকের যেখান যেখান থেকে সূর্যগ্রহণ সবচেয়ে ভালভাবে দেখা গেছে সেখানে সেখানে ওই ছাত্ররা ছোট ছোট দল করে হাজির হয়। তারপর সেখান থেকে একটি করে বেলুন উড়িয়ে দেয়।
যে সে বেলুন নয়। এগুলিকে বলা হয় ওয়েদার বেলুন বা আবহাওয়া বেলুন। যার সঙ্গে লেগে থাকে বেশ কয়েকটি যন্ত্র। যা আকাশে উড়ে গিয়ে নানা তথ্য সংগ্রহ করে।
বিভিন্ন বেলুন নানা তথ্য নিয়ে ফিরে আসার পর সেসব তথ্য পর্যালোচনা করে ছাত্ররা এক অভিনব বিষয় সামনে এনেছে। এই প্রথম বিষয়টি জানতে পারা গেল। যদিও বিজ্ঞানীদের সন্দেহটা ছিল। তাঁরাও ছাত্রদের হাত ধরে এ বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারলেন।
গ্রহণের সময় যে অ্যাটমোস্ফেরিক গ্র্যাভিটি ওয়েভ বা বায়ুমণ্ডলীয় মাধ্যাকর্ষণ তরঙ্গ সৃষ্টি হয় তা এবার পরিস্কার হয়ে গেল এই ছাত্রদের হাত ধরে। এই বিষয়টি আগামী দিনে আবহাওয়ার পূর্বাভাস দিতে বিশেষ ভাবে উপকারি হতে চলেছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা।