মহাকাশে বেড়ে উঠল লঙ্কা গাছ, মহাকাশচারীদের ঝাল খাওয়ার ব্যবস্থা পাকা
পৃথিবী থেকে নিয়ে যাওয়ার দরকার নেই। মহাকাশচারীদের মহাশূন্যে বসেই ঝাল ঝাল খাবার খাওয়ার ব্যবস্থা করে দিল মহাকাশেই বেড়ে ওঠা গাছ।
মহাকাশচারীদের জন্য খাবার পৃথিবী থেকেই নিয়ে যেতে হয়। এটা একটা বড় সমস্যা। মহাকাশচারীরা মাসের পর মাস আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে কাটান। সেখানে তাঁদের খাবারের দরকার। সে খাবার পৃথিবী থেকেই পাঠানো হয়। কিন্তু মহাকাশে গাছ হতে পারে কি?
সে চেষ্টা অনেকদিন ধরেই চলছে। কয়েকটি টমেটো যেমন ফলেছে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে। তেমনই ২০২১ সালেই মহাকাশে আরও একটি গাছে ফুল ও ফল ধরে।
সাদা সুন্দর ফুলের পিছনে অবশ্য ঝালের স্বাদ লুকিয়ে ছিল। মহাকাশে লঙ্কা গাছ তৈরি করে ফেলেছিলেন মহাকাশচারীরা। নিয়ন্ত্রিত আবহাওয়ায় অবশেষে সে গাছ বেড়েও ওঠে। লঙ্কা ফুল ধরে। তারপর ফলও হয়। ২৬টি লঙ্কা হয়েছিল গাছে।
অবশ্যই তা খাবার জন্য নয়। পরীক্ষামূলকভাবেই করা হয়েছিল। তবে বিজ্ঞানীরা উৎফুল্ল ছিলেন লঙ্কা গাছে ফুল ফল দেখে। এটা একটা রেকর্ডও করে। এখনও মহাকাশে যে ফসল ফলানো হয়েছে তা সবই পরীক্ষামূলক হলেও তা জন্মানোর পর মহাকাশচারীরা তা খেতেও পারেন।
আর সেই খাওয়ানোর ক্ষেত্রে এই লঙ্কা গাছই রেকর্ড গড়েছিল। এই লঙ্কা গাছে হওয়া ২৬টি লঙ্কাই হল এখনও মহাকাশে ফলন হওয়া সবচেয়ে বেশি পরিমাণ খাবার। যা মহাকাশচারীদের ঝালের স্বাদ পূরণ করে।
মহাকাশচারীদের ভিটামিন সি-এর প্রয়োজনও মেটাতে পারে এই গাছ বলে মনে করা হয়। মহাকাশে নানাধরনের ফসল ফলানোর চেষ্টা কিন্তু নিরন্তর চালিয়ে যাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে এর পরীক্ষা চলতেই থাকে।