মহাশূন্যে ১৯ জন, মানবসভ্যতার নয়া ইতিহাস গড়ল নাসা
মহাশূন্যকে চেনার লড়াই চলছে। মহাকাশে মানুষের যাতায়াত বাড়ছে। চেষ্টা চলছে চাঁদে বা মঙ্গলে বাসস্থান নির্মাণের। সেই অবস্থায় মানবসভ্যতার নয়া ইতিহাস রচনা করল নাসা।
মহাকাশকে চেনা, সেখানে মানুষের কর্মকাণ্ড ক্রমশ বৃদ্ধি পাওয়া এবং আগামী দিনে তা আরও বাড়ানোর যে আপ্রাণ প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা তা নতুন নতুন ইতিহাস রচনা করছে। মহাশূন্য সম্বন্ধে মানুষের চেনা ধারনাকে একদম বদলে দিচ্ছে অনেক ক্ষেত্রে।
এবার নাসা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে জানাল আর এক ইতিহাস রচনার কথা। মানবসভ্যতার ক্ষেত্রে এ এক নতুন ইতিহাস। মহাশূন্যে এখন মোট ১৯ জন রয়েছেন।
এই ১৯ জন মানুষ পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করছেন। এর আগে কখনও ১৯ জন মানুষ মহাশূন্যে রয়েছেন, পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করছেন, এমনটা হয়নি।
ভারতীয় বংশোদ্ভূত নাসার নভশ্চর সুনিতা উইলিয়ামস আগেই গিয়েছিলেন আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে। সেখান থেকে ফেরার কথা থাকলেও তাঁর ফেরা কবে হবে তা অনিশ্চিত।
এর মধ্যেই আরও ৩ নভশ্চর হাজির হয়েছেন গত বুধবার। ফলে এখন আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে ১৯ জন মহাকাশচারী রয়েছেন। তাঁরা আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে বসেই পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে চলেছেন। নানাধরনের পরীক্ষা করে চলেছেন।
নাসা জানাচ্ছে এতজন মানুষ একসঙ্গে মহাশূন্যে রয়েছেন এমনটা এই প্রথম হল। গত বুধবার রাশিয়ার সয়ুজ ক্যাপসুলে চেপে নাসার ১ জন মহাকাশচারী এবং রাশিয়ার ২ জন মহাকাশচারী বিজ্ঞানী আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে পাড়ি দেন।
সব মিলিয়ে সংখ্যাটা ১৯ জনে দাঁড়ায়। আর এই ১৯ জনের কেউই এখনই যে পৃথিবীতে ফিরছেন এমনটাও নয়। ফলে ১৯ জনই এখন থাকছেন সেখানে।