মহাকাশ চষে ফেলেও এমন কাণ্ড আগে কখনও দেখেনি নাসার চোখ
মহাকাশ চষে ফেলাই তার কাজ। অনেক কিছু সে সামনে এনেছে। কিন্তু এমন কিছু এর আগে কখনও দেখেনি পৃথিবীর অন্যতম শক্তিধর টেলিস্কোপ হাবল।
কত কিছুই তো দেখল হাবল। তার যাবতীয় তথ্যসহ ছবি উপহার দিল বিজ্ঞানীদের। গভীর মহাকাশ নিয়ে যতটা অন্ধকারে বিজ্ঞানীরা ছিলেন, তা এখন অনেকটা কেটেছে এই অতিশক্তিশালী টেলিস্কোপ হাবলের দৌলতে।
এতদিনে হাবল কোটি কোটি আলোকবর্ষ দূরে থাকা অনেক নক্ষত্রপুঞ্জের খোঁজ দিয়েছে বিজ্ঞানীদের। এত দিয়েছে যে এখন বিজ্ঞানীরা পরিস্কার যে মূলত মহাকাশে ২ ধরনের নক্ষত্রপুঞ্জ বিরাজ করছে। একটি সর্পিল নক্ষত্রপুঞ্জ ও অন্যটি উপবৃত্তাকার নক্ষত্রপুঞ্জ।
এরমধ্যে সর্পিল নক্ষত্রপুঞ্জ হল এমন নক্ষত্রপুঞ্জ যা অনেকটাই নবীন। যেখানে নতুন নতুন সূর্য বা নক্ষত্র সৃষ্টি হয়ে চলেছে। যা ভরে আছে গ্যাস আর ধূলিকণায়।
একদিকে যেমন এমন বহু তরুণ নক্ষত্রপুঞ্জ ভেসে বেড়াচ্ছে, তেমনই প্রবীণ নক্ষত্রপুঞ্জরাও রয়েছে। যাদের বলা হয় উপবৃত্তাকার নক্ষত্রপুঞ্জ। এগুলি থেকে যে আলো ঠিকরে বার হয় তা পুরনো অনেক নক্ষত্র থেকে নির্গত। এর সূর্যরা অনেক বেশি প্রবীণ এবং লালচে।
বিজ্ঞানীরা জানতেন মহাশূন্যে এই ২ ধরনের নক্ষত্রপুঞ্জই রয়েছে। কিন্তু এবার একদম অন্য ধরনের অবাক করা নক্ষত্রপুঞ্জের দেখা পেল হাবল স্পেস টেলিস্কোপ। ফলে এমন নক্ষত্রপুঞ্জ এই প্রথম নজরে এল বিজ্ঞানীদের।
এনজিসি ৪৬৯৪, এটাই এখন বিজ্ঞানীদের কাছে এই নয়া আজব দর্শন নক্ষত্রপুঞ্জের পরিচয়। কারণ এ নক্ষত্রপুঞ্জ না সর্পিল, নাই বা উপবৃত্তাকার। এটা দেখে মনে হচ্ছে এখানে নতুন সূর্য তৈরি হচ্ছেনা। কিন্তু এর কেন্দ্রে যে অনেক সূর্য রয়েছে, যারা নবীন।
সেখানে নতুন সূর্যেরও জন্ম হচ্ছে। পৃথিবী থেকে ৫৪ মিলিয়ন বা ৫ কোটি ৪০ লক্ষ আলোকবর্ষ দূরে থাকা এই নক্ষত্রপুঞ্জের কেন্দ্র অত্যন্ত উজ্জ্বল। যা প্রচুর নতুন সূর্য থেকে বার হওয়া আলোর ফলে উজ্জ্বল।
আবার এটির বৈশিষ্ট্যগুলি উপবৃত্তাকারের মতন। কিন্তু প্রচুর হাইড্রোজেন গ্যাস ও ধুলোয় ভরা থাকায় এই নক্ষত্রপুঞ্জ আবার সর্পিল বলেও মনে হয়।
ফলে বিজ্ঞানীরা এখন ভাবতে শুরু করেছেন তাহলে মহাকাশে তৃতীয় ধরনের নক্ষত্রপুঞ্জও রয়েছে। যা নিয়ে তাঁরা এখন গবেষণাও শুরু করেছেন। এর কি নাম হবে সেটাই এখন দেখার।