মঙ্গলগ্রহ বসবাসের অযোগ্য হয়ে গেল কেন, নয়া তথ্য পেলেন বিজ্ঞানীরা
মঙ্গলগ্রহে একসময় নদী বয়ে যেত। তারপর এমন পরিস্থিতি হল যে তা কোনও প্রাণের বসবাসের অযোগ্য হয়ে গেল। এর নতুন কারণ জানতে পারলেন বিজ্ঞানীরা।
মঙ্গলগ্রহ নিয়ে গবেষণা নিরন্তর হয়ে চলেছে। নাসার পাঠানো যান কিউরিওসিটি রোভার এখন মঙ্গলগ্রহের গেইল ক্রেটারে ঘুরে বেড়াচ্ছে। সেখান থেকে নতুন নতুন তথ্য সংগ্রহ করছে। আর তা করতে গিয়ে এক নতুন তথ্য সংগ্রহ করেছে।
সেই তথ্য নাসার বিজ্ঞানীদের কাছে মঙ্গলের আদি ইতিহাস জানার নতুন দিক খুলে দিয়েছে। মঙ্গলগ্রহে একসময় নদী বইত। আবহাওয়া ছিল। যা বাসযোগ্যও ছিল। কিন্তু সেখান থেকে ক্রমে মঙ্গলগ্রহ কোনও প্রাণের বাসযোগ্য আর রইল না।
গ্রহের উপরিভাগে থাকা সব জল উবে গেল। কেন এমনটা হল? সেটা জানার চেষ্টা করতে গিয়ে বিজ্ঞানীরা কিউরিওসিটির হাত ধরে নতুন একটি বিষয় জানতে পেরেছেন।
বিজ্ঞানীরা এই গেইল ক্রেটারে এমন মাটির সন্ধান পেয়েছেন যাতে কার্বনের পরিমাণ যথেষ্ট রয়েছে। এই খনিজে পূর্ণ কার্বোনেট বলে দিচ্ছে মঙ্গলের আদি ইতিহাস। এগুলি এমন কার্বোনেট যা একসময় বায়ুমণ্ডলে সৃষ্টি হয়েছিল এবং তা জলকে খুব অল্প সময়ের জন্যই ধরে রাখার গুণের অধিকারী ছিল।
বরং তা দ্রুত বাষ্পীভবনের কাজে সাহায্য করত। ফলে একটা সময় মঙ্গল থেকে জল উবে যায়। মঙ্গলে মাটির তলায় বা মাটির উপরিভাগে এমন এক বায়োস্ফিয়ার ছিল যা তৈরি হয়ে শেষ হয়ে যায় এই কার্বোনেট তৈরির আগেই।
এই কার্বোনেট অতি নোনতা জলে এবং প্রবল ঠান্ডায় তৈরি হয়েছিল মঙ্গলগ্রহের গেইল ক্রেটারে। আবার এই কার্বোনেটই অল্প সময়ের জন্য জল ধরে রেখে তা কম সময়ের ব্যবধানে বাষ্পীভবনে সাহায্য করেছিল।