বরফের চাঁদে পাড়ি দিল মহাকাশযান, পৌঁছবে ৫ বছর পর
বরফের চাঁদে এমন অভিযান এই প্রথম। ফলে তা ঐতিহাসিক সন্দেহ নেই। মহাকাশযানটির পৃথিবী থেকে উড়ে গন্তব্যে পৌঁছতেই ৫ বছর লেগে যাবে।

পুরু বরফের চাদরে ঢাকা একটা চাঁদ। পৃথিবীর উপগ্রহ যেমন চাঁদ। তেমন বৃহস্পতির অন্যতম উপগ্রহ ইউরোপা। এই ইউরোপা বরফে ঢাকা একটি উপগ্রহ। বিজ্ঞানীরা দাবি করেন ওই বরফের পুরু চাদরের তলায় রয়েছে এক অতিবিশাল মহাসমুদ্র।
সেই মহাসমুদ্রের জল নোনতা। ফলে সেখানে থাকতে পারে প্রাণের অস্তিত্ব। অন্তত প্রাণ তৈরির মত উপাদান সেই জলে পাওয়া যেতেই পারে বলে মনে করেন বিজ্ঞানীরা। তবে সে ধারনা কতটা সঠিক তা জানতেই এই অভিযান।
নাসার এই অভিযানের নাম ইউরোপা ক্লিপার মিশন। ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে ৫ বিলিয়ন ডলার বা ভারতীয় মুদ্রায় ৪২ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই মহাকাশযানটি উড়ে যায় আকাশে।
এই যানটি এমন এক যান যা প্রথম ইউরোপায় বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা করতে যাচ্ছে। সেদিক থেকে এই মিশন ইতিহাস রচনা করল। যানটি পৃথিবী থেকে উড়ে গেল ঠিকই। তবে তা গন্তব্যে পৌঁছতে ৫ বছরের বেশি সময় নেবে।
২০৩০ সালের এপ্রিল মাসে তার ইউরোপায় পৌঁছনোর কথা। এর মধ্যে নিরন্তর ছুটে যাবে ৬ হাজার কেজির যানটি। যানটি ইউরোপায় পৌঁছবে ১.৮ বিলিয়ন মাইল বা ২৯০ কোটি কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে।
ইউরোপার কাছে পৌঁছনোর পর অবশ্য তা ইউরোপায় নামবে না। বরং তার চারধারে পাক খাবে। এমন করে ৫০টি পাক খাওয়ার কথা যানটির। এই পাক খাওয়ার সময়ই সে যা পরীক্ষা চালানোর চালাবে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা